কয়েকদিনের মধ্যেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সম্ভবত সংসদে বিল পেশ হতে চলেছে। সূত্রের খবর, আসন্ন বাদল অধিবেশনে রাজ্যসভায় সেই বিষয়ের উপর একটি বিল উত্থাপন করতে পারেন বিজেপি সাংসদ রাকেশ সিং। লোকসভায় একই বিষয় নিয়ে বিজেপি সাংসদ রবি কিষান বিল উত্থাপন করতে পারেন বলে সূত্রের খবর।২০১৯ সালে রাকেশের ‘প্রাইভেট মেম্বার বিল’ (মন্ত্রী নন এমন কোনও সাংসদ যে বিল উত্থাপন করেন) রাজ্যসভায় উত্থাপন করা হয়েছিল। যে বিলের নাম ছিল - জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল, ২০১৯। যে পরিবারে দুইয়ের বেশি সন্তান থাকবে না, সেই পরিবারকে বাড়তি সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব আছে সেই বিলে। নাম গোপন রাখার শর্তে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, লটারির মাধ্যমে শুক্রবার দ্বিতীয় ভাগে রাকেশের বিল আলোচনার জন্য বেছে নেওয়া হয়। আপাতত লটারির তালিকায় রাকেশের বিল দ্বিতীয় স্লটে আছে। ওই ব্যক্তি বলেন,'যদি সূচি মোতাবেক সংসদ চলে, তাহলে অধিবেশনের দ্বিতীয় সপ্তাহে আলোচনার জন্য বিলটি উত্থাপিত হতে পারে।' অন্যদিকে, সংসদের নিম্নকক্ষে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিল পেশের ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ রবি। যা পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেঁধে রাখবে। সদ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে পথ নেওয়া উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সাংসদ অজয় ভাটও ২০১৯ সালে একটি ‘প্রাইভেট মেম্বার বিল’ উত্থাপন করেছিলেন। তাতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি ছিল।রবিবারই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রকাশ করেছে উত্তরপ্রদেশ। ২০২১ সাল থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ঠেকাতে সচেতনতা গড়ে তোলার উপর জোর দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বোচ্চ দুই সন্তানের পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে। সেই নীতিতে জানানো হয়েছে, দুইয়ের বেশি সন্তান হলে কোনও ব্যক্তি সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না, কোনও সরকারি ভর্তুকি পাবেন না, স্থানীয় কোনও নির্বাচনেও লড়তে পারবেন না। সরকারি চাকরি করাকালীন তৃতীয় সন্তান জন্ম নিলে চাকরি খোয়াতে হবে। কোনও প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হবে না।