অপারেশন ডেভিল হান্টের মাধ্যমে আওয়ামি লিগের ৪ হাজারের মতো কর্মী সমর্থককে আটক করা হয়েছে বাংলাদেশে। এরই মাঝে মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সব দলগুলির বৈঠকে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি তোলা হয়েছে। এই নিয়ে ছাত্র নেতা এবং জামাতের গলা সবচেয়ে বেশি চড়েছে। এরই মাঝে আবার আওয়ামি লিগকে পুনরুজ্জীবিত করার উপায় বাতলে দিলেন ইউনুসেরই প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বাংলাদেশে হাসিনা জমানায় অত্যাচার নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে শফিকুল বলেন, 'শেখ হাসিনার রাজনীতিতে ফেরার সামান্য সম্ভাবনাও এখন শেষ। জুলাই-অগস্টের হত্যাযজ্ঞে জড়িত না থাকা আওয়ামি লিগের সেই বিশাল কর্মীবাহিনী যদি তাঁদের দলকে পুনরুজ্জীবিত করতে চান, তবে একমাত্র উপায় হল - শেখ হাসিনা ও তার পরিবারকে প্রত্যাখ্যান করা এবং জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া।' (আরও পড়ুন: 🐓৩০০ বছর আগে লেখা চিঠিতে পৃথিবীর অন্তের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন আইজ্যাক নিউটন?)
আরও পড়ুন: 🐬২০৩২-এ ভারত, বাংলাদেশে আছড়ে পড়তে পারে YR4 গ্রহাণু, সম্ভাবনা কষে বের করল NASA
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিতে হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। এরপর থেকেই শেখ হাসিনার সরকারে থাকা বহু মন্ত্রী ধরা পড়েছেন। আবার বহু মন্ত্রী পালিয়ে গিয়ে অজ্ঞাতবাসে আছেন। এদিকে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ দিন ধরে বাংলাদেশে যে ধ্বংসলীলা চলছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাসিনাকেই দায়ী করেছে ইউনুসের সরকার। এহেন পরসিস্থিতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করেছিল বাংলাদেশ সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয়, ভারতে বসে হাসিনা যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তা বাংলাদেশের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন আচরণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যা ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ‘স্বাস্থ্যকর’ সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে। সরকারের বিবৃতিতে দাবি করা হয়, জুলাই বিপ্লবের বিরোধিতা করে উস্কানিমূলক ভাষণ দেন হাসিনা। ওই আন্দোলনের সময় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের অপমান করেছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। (আরও পড়ুন: 🎐ইউনুসের দেশে নারী হস্টেলে পুরুষদের হামলার প্রতিবাদ করলে ছাত্রীদের শাস্তি পেতে হয়)
আরও পড়ুন: 🔯মোদীর মার্কিন সফরের প্রশংসায় শশী থারুর, সাংসদের মন্তব্যে ঢোক গিলে কংগ্রেস বলল…
আরও পড়ুন: ♛'…তাই তো রে তুই অকাল চিতায়,পূণ্যলোভী যাত্রীকূল', নয়াদিল্লিকাণ্ডে বললেন দেবাংশু
ಌএর আগে বাংলাদেশ সকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। আর এরই মাঝে রিপোর্টে দাবি করা হয়, সম্প্রতি নাকি ভারতে থাকার জন্যে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে ভারত সরকার। আবার আনন্দবাজার পত্রিকা দাবি করেছে, শেখ হাসিনার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বাড়ান হয়েছে। এদিকে এরই মাঝে হাসিনাকে সরকারি ভাবে ভারতে 'রাজনৈতিক আশ্রয়' দেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে। কারণ এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই ভারতে। তবে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে বৈধ ভাবে তাঁকে ভারতে থাকতে দিতে সম্মত মোদী সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নাকি ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধিতে সবুজ সংকেত দেয়। এরপরই স্থানীয় ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের মাধ্যমে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল।