অ্যালিস ইয়োসুদোরগোড়ায় ভোট। এদিকে ইস্টার্ন নাগাল্যান্ড পিপলস অর্গানাইজেশন ‘পৃথক ফ্রন্টিয়ার নাগাল্যান্ডের’ দাবিতে সরব। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, ভোট প্রক্রিয়ার পরে তাদের দাবির বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে। শনিবার ENPO'র তরফে একটি বিবৃতি জারি করে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এবার তা নিয়ে কিছুটা শিথিল করা হচ্ছে।কারণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র তাদের এনিয়ে অনুরোধ করেছেন। তাছাড়া দিল্লিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছ থেকেও কিছু আশ্বাস মিলেছে।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আশ্বাসটা এটাই ছিল যে পরস্পরের সঙ্গে আপোস আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ভোট প্রক্রিয়া মিটে যাওয়ার পরে তা সম্পূর্ণ করা হবে।এরপর ডিমাপুরে এনিয়ে একটি মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও ভারত সরকারের প্রতি বিশ্বাস রেখে ২০২২ সালের ২৬ অগস্ট যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা কিছুটা শিথিল করা হচ্ছে। রাজ্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের কথা মাথায় রেখে আগের সিদ্ধান্ত থেকে কিছুটা সরে আসছে সংগঠন। এদিকে নাগাল্যান্ডের ৬ জেলাকে নিয়ে পৃথক ফ্রন্টিয়ার নাগাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরব ইএনপিও।এদিকে সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উপদেষ্টা একে মিশ্রের নেতৃত্বে প্যানেল ইএনপিওর আওতায় ৬টি পূর্বাঞ্চলীয় জেলাকে নিয়ে একটি স্বায়ত্তশাসনভুক্ত রিজিওনাল কাউন্সিলের প্রস্তাব দিয়েছিল।আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি নাগাল্যান্ডে ভোট। তার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জোরকদমে ময়দানে নামা শুরু করে দিয়েছে। এবার নাগাল্যান্ড কার দখলে যাবে, গেরুয়া শিবির কতটা প্রভাব ফেলতে পারবে তা নিয়েও চর্চা চলছে পুরোদমে। বাংলার শাসকদল তৃণমূলও তাকিয়ে রয়েছে নাগাল্যান্ডের ভোট প্রক্রিয়ার দিকে। সব মিলিয়ে আপাতত ভোট প্রস্তুতি তুঙ্গে।তবে তার মধ্যে ইএনপিও তাদের পুরানো অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসছে। পৃথক ফ্রন্টিয়ার নাগাল্যান্ডের দাবিতে তাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন। এই দাবিকে সামনে রেখে তারা ভোট প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্তও নিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের দাবি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে আশ্বাস পাওয়ার পরে তারা ভোটে অংশ নেবে।