সাহারা মরুভূমির মধ্যে সবুজের ছোপ- এমনই অভাবনীয় ছবি ধরা পড়ল নাসার স্যাটেলাইটে। পৃথিবীর অন্যতম শুষ্ক এবং রুক্ষ স্থানে এমন দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন অনেকেই। তবে শুধু সবুজের আভা নয়, নাসার ক্যামেরায় যে ছবি ধরা পড়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে যে একাধিক হ্রদে জল ভরতি হয়ে গিয়েছে। ওই হ্রদগুলি সাধারণত শুষ্ক থাকে। জলের লেশমাত্র থাকে না। কিন্তু এখন সেগুলি জলে টইটম্বুর হয়ে গিয়েছে বলে নাসার উপগ্রহচিত্রে ধরꦑা পড়েছে।
১ বছরের বৃষ্টি হয়েছে ২ দিনেই!
আর সেটার নেপথ্য♉ে আছে একটি ঘূর্ণিঝড়। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার তরফে জানানো হয়েছে যে একটি 'এক্সট্রা ট্রপিকাল' ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গত ৭ সেপ্টেম্বর এবং ৮ সেপ্টেম্বর সাহারা মরুভূমির উত্তর-পশ্চিম অংশে বৃষ্টি হয়েছে। মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিশিয়া এবং লিবিয়ার মতো দেশের যে জায়গাগুলিতে কালেভদ্রে বৃষ্টি হয়, ওই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভালোমতো বর্ষণ পেয়েছে সেই এলাকাগুলি। বিশেষত মরক্কো এবং আলজেরিয়ার ওই শুষ্ক জায়গাগুলিতে এক বছরে যতটা বৃষ্টি হয়, তা দু'দিনেই হয়ে গিয়েছে।
আর তাতেই ম্যাজিক হয়েছে। মার্কিন মহাকাশ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, যে ছবিতে সাহারা মরুভূমির মধ্যে সবুজের ছোপ দেখা গিয়েছে এবং বিভিন্ন শুষ্ক হ্রদে জল জমে থাকতে দেখা গিয়েছে, সেটি নাসার স্যাটেলাইটের 'মডারেট রেজোলিউশন ইমেজিং স্পেক্ট্রো রেডিয়ো 🍸মিটার'-র মাধ্যমে ১০ সেপ্টেম্বর তোলা হয়েছে। যে সবুজ-সবুজ ছোপ দেখা গিয়েছে, সেগুলি গাছ। আর ছবিতে যে আকাশি꧋ ছোপ দেখা গিয়েছে, সেগুলির মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে যে ওই অঞ্চলগুলিতে জল জমেছে।
১ মাসেই 'ম্যাজিক' - পালটাল ছবি
ওই ঘূর্ণিঝড়ের ম্যাজিকে সাহারা মরুভূমির যে কতটা পরিবর্তন হয়েছে, তা এক মাসের আগের ছবিতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। গত ১৪ অগস্ট নাসার স্যাটেলাইটের তোলার ছবিতে কিছুটা সবুজের আভা (মরক্কোর কাছে) দেখা গেলেও জলের লেশমাত্র ছিল না। সেখানে ১০ সেপ্টেম্বরের ছবিতে ꦺজল দেখা গিয়েছে।
অভিভূত বিশেষজ্ঞরা
বিষয়টಌি নিয়ে নাসার প্রতিবেদনে জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইনস্টিটিউট অফ আর্থ সায়েন্সসের সিনিয়র লেকচারার মোশে আরমন জানিয়েছেন যে প্রতি গ্রীষ্মেই ওই এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হয়। এবার যে 'এক্সট্রা ট্রপিকাল' ঘূর্ণিঝড় এসেছিল, সেটার কারণেই পুরো ছবিটা পালটে গিয়েছে। আর সবথেকে আকর্ষণীয় ব্যাপার হল, সাহারা মরুভূমির যে হ্রﷺদগুলি সাধারণত শুষ্ক থাকে, সেগুলিতেও জল ভরতি হয়ে গিয়েছে।
নাসার তরফে জানানো হয়েছে, ২০০০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে আরমন এবং তাঁর সহকর্মীরা দেখেছেন যে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের আগে মাত্র ছ'বার এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। অর্থাৎ 𝓡সাহারা মরুভূমির হ্রদে জল ভরতি ছিল।