হালেই এসেছে এক সমীক্ষার ফল। তাতে দেখা যাচ্ছে সারা বিশ্বের রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শিখরে নরেন্দ্র মোদী। এই নিয়ে স্বভাবতই খুশি ভারতীয় জনতা দল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন যে দেশের জন্য মোদীর যে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, সেটাই তাঁর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কারণ। মাপজোক করে মোদী নীতি প্রণয়ন করেন বলেই দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। প্রসঙ্গত মর্নিং কনসাল্ট বলে একটি সংস্থা সারা বিশ্বের নেতাদের অ্যাপ্রুভাল রেটিং বিচার করে দেখেছে। তাদের মাপকাঠি অনুযায়ী মোদীর মোট জনপ্রিয়তা ৫৫ শতাংশ। ৭৫ শতাংশ তাঁর কাজের প্রশংসা করেছেন। অপছন্দ করেছেন ২০ শতাংশ। বিশ্বনেতাদের মধ্যে এত বেশি অ্যাপ্রুভাল কোনও রাজনীতিবিদের নেই। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে মেক্সিকো ও অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রনেতা। জার্মানির অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের অ্যাপ্রুভাল রেটিং ২৪ শতাংশ, ইউকে-র বরিস জনসনের ক্ষেত্রে সেটি নেতিবাচক। সব মিলিয়ে ১৩টি দেশের নেতাদের জনপ্রিয়তা বিচার করে দেখেছে এই সংস্থা। প্রধানমন্ত্রী যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ভূষিত হয়েছেন, সেই কথা মনে করিয়ে দেন প্রকাশ জাভড়েকর। তিনি বলেন যে করোনার সময় সক্রিয় ভাবে রোগ দমন করায় ভারত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। বিরোধীরা যদিও অভিযোগ করেছেন যে ভারত সরকার অনেক পরে করোনা মোকাবিলায় সক্রিয় হয়েছে কিন্তু সেই কথা আমল দিতে রাজি নন বিজেপি নেতা। বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা যেমন জানিয়েছেন যে মানুষ বিশ্বাস করে মোদীরাজে দেশ সঠিক পথে চলে। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা দেশের সবপ্রকার মানুষের মধ্যেই বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেই মনে করেন জেপি নড্ডা।