মধ্য প্রদেশে স্কুলছুট কিশোরীদের রেশন প্রাপ্ত💧ি (take home ration 🎉scheme) প্রকল্পে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ আনল জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন (এনসিপিআর)। অভিযোগ, প্রাপক তালিকায় ৯৫% নামই ভুয়ো।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ 🍬সালে রাজ্যের নারী ও শিশু উন্নয়ন দফতর মোট ১.৭১ লাখ স্কুলছুট বয়ঃসন্ধি প্রাপ্ত মেয়েদের রেশন দিয়েছে। কিন্তু মধ্য প্রদেশ স্কুলশিক্ষা দফতর🍌ের নথি অনুযায়ী, বাস্তবে মাত্র ৮,৬০০ ছাত্রী স্কুল যাওয়া বন্ধ করেছিল। হিসাবের এই গরমিল সম্প্রতি রাজ্য প্রশাসনের গোচরে এনে তদন্দের দাবি জানিয়েছে কমিশন।
জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর মতে, প্রকল্প নিয়ে মধ্য প্রদেশে চূড়ান্ত দুর্নীতি শুরু হয়েছে। রাজ্য স্কুলশিক্ষা দফতর এবং কম্পট্রোলার অডিটর জেনারেল (সিএজি) বিষয়টির সঙ্গে সহমত হলে গত ২ ফেব্রুয়ারি൲ তিনি আর্থিক অপরাধ বিভাগের (EOW) কাছে ঘটনার তদন্ত দাবি করে চিঠি লেখেন। তাঁর দাবি, ‘এ শুধু হিমশৈলের চূড়া মাত্র। এটি কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকার বেশি অর্থের দুর্নীতি।’
কানুনগো জানিয়েছেন, ‘২০১৯ সালের মার্চ মাসে বিদিশা জেলার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্❀রে আচমকা সফর করি। সেখানে রেশন প্রাপক মেয়েদের একটি তালিকা দেখতে পাই। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে চিনতাম বলে তাদের পরিবারের সদস্যদের ডেকে মেয়েদের আবার স্কুলে পাঠাতে বলি। কিন্তু জানতে পারি, ওই মেয়েরা রেশন পাচ্ছে না এবং নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে। তাদের নামে রেশন তুলছে অন্য কেউ।’
তিনি আরও বলেন, ‘প👍রে এনসিপিআর নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের কাছে রেশন প্রকল্পে প্🔜রাপকদের সম্পর্কে তথ্য চায়। দফতর আমাদের জানিয়েছে, মোট ১.৭১ লাখ স্কুলছুট কিশোরী নিয়মিত রেশন পেয়ে থাকে। তদন্তের স্বার্থে আমি তাদের নাম জানতে চাই, কিন্তু কখনও নির্দিষ্ট তথ্য পাইনি।’
কানুনগোর দাবি, ‘রাজ্য স্কুলশিক্ষা দফতরের কাছে ১১ থেকে ১৪🧜 বছর বয়েসিস্কুলছুট মেয়েদের সম্পর্কে তথ্য জানতে চায় এনসিপিসিআর। দফতর জানায়, মোট ৮.৬০০ মেয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করেছে। তথ্যে এত বড় ফাঁক থাকায় বিষয়টি আমি সিএজি-কে জানিয়ে চিঠি পাঠাই এবং তদন্তের আর্জি জানাই। সিএজি রিপোর্টে জানা যায়, বেতুল, গোয়ালিয়র, ডিন্ডোরি ও সিংরাউলি জেলায় রেশন প্রকল্পে বছরে ৪ কোটি টাকার গরমিল র♏য়েছে।’
বিষয়টি রাজ্য সরকার ও EOW-কে জানিয়ে তদন্তের আবেদন জানিয়েছে এনসিপিআর। অন্য দিকে, ২০২০ সালে বিষয়টি তদন্ত করে রাজ্য নার♉ী ও শিশু কল্যাণ দফতর জানতে পেরেছে যে, রেশন প্রাপকের সংখ্যা ইতিমধ্যে কমে মাত্র ৯৬,০০০ হয়েছে।
মধ্য প্রদেশ নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের কমিশনার স্বাতী&nbs🥂p;নায়েক জানিয়েছেন, ‘আমরা আধার কার্ডের মাধ্যমে রেশন প্রাপকদের চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ২০১৯ সালে করা দুর্নীতির অভিযোগও আমরা খতিয়ে দেখছি।’