ইতিমধ্যেই 'প্রতিশোধমূলক শুল্ক' চাপানোর ঘোষণা করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের আগেই ট্রাম্প এই সংক্রান্ত ঘোষণা করেছিলেন। আর শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমেরিকার মাটি ছাড়তেই নয়া শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দিলেন, এবার গাড়ি এবং বাইকের ওপরে আমদানি শুল্ক চাপাবে আমেরিকা। ১৪ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্প জানান, ২ এপ্রিল এই নয়া শুল্ক নিয়ে বিস্তারিত ঘোষণা করবেন তিনি। বিভিন্ন অটোমোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা যাতে আমেরিকায় গাড়ি তৈরি করতে শুরু করে, এর জন্যেই এই নয়া শুল্ক আরোপের পথে হাঁটা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: 🐼দিল্লির সরকার গঠন নিয়ে 'সাসপেন্স' শেষ করলেন বিজেপি নেতা, জানিয়ে দিলেন...)
ไএর আগে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের আগে 'প্রতিশোধমূলক শুল্ক' আরোপের ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন, চড়া শুল্কের কারণে ভারতে ব্যবসা করা অত্যন্ত কঠিন। সাধারণত বিশ্বের যে কোনও দেশের তুলনায় মার্কিন পণ্যের উপরে বেশি শুল্ক ধার্য করে ভারত। সেই পরিস্থিতিতে এবার থেকে ভারত মার্কিন পণ্যের উপরে যে হারে শুল্ক চাপাবে, সেই হারেই ভারতীয় পণ্যের উপরে শুল্ক ধার্য করা হবে। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুবিচারের জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে প্রতিশোধমূলক শুল্ক চাপাব। অর্থাৎ যে দেশ আমেরিকার পণ্যের উপরে যতটা শুল্ক চাপাবে, ঠিক ততটাই শুল্ক চাপানো হবে ওই দেশের উপরে। বেশিও না, কমও নয়।
💯উল্লেখ্য, এর আগেও ভারতের শুল্ক নীতি নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অতীতে সিবিএস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, 'আমরা এতটা বোকা দেশ নই যে এত বাজে করব। ভারতের দিকে দেখুন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমার খুব ভালো বন্ধু। তবে তারা কী করে দেখুন। মোটোরসাইকেলের ওপরে ১০০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে। আমরা তাদের পণ্যের ওপর কোনও শুল্ক ধার্য করি না। যখন হারলে ভারতে বাইক পাঠায়, তখন সেগুলির ওপরে ১০০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়। আর ভারত যখন এত এত বাইক পাঠায় এখানে, তখন আমরা কোনও শুল্ক ধার্য করি না। আমি তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে বলেছিলাম, এটা ঠিক হচ্ছে না। আমার একটা ফোনেই হারলের শুল্ক হার ৫০ শতাংশ কাটছাঁট করা হয়েছিল। তবে আমি বলেছিলাম, এটা এখনও গ্রহণযোগ্য নয়। এটা ৫০ শতাংশ বনাম শূন্য। তারা বলে যে এটা নিয়ে তারা কাজ করছে।' উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত হারলে ডেভিডসনের ওপরে ৫০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছিল। আর এবারের বাজেটে তা আরও কিছুটা কমানো হয়।