জঞ্জাল কুড়ানো বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে একগুচ্ছ প্রস্তাব পাঠাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আইন প্রণয়ন করে বিপজ্জনক এই পেশা বন্ধ করা এবং প্রয়োজনে জঞ্জাল সাফাই কর্মী নিয়োগকারী স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে কমিশন।পাশাপাশি, জঞ্জাল কুড়ানিদের পরিবারকে বিকল্প আয়ের সুযোগ দিতে ব্যবসার জন্য পরিবার পিছু ১০ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে কমিশন।একই সঙ্গে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো-কে (NCRB) আবর্জনা সাফাই জনিত মৃত্যুর হার নিয়ে রিপোর্ট দিতেও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।জঞ্জাল কুড়ানো বন্ধ করা হয়েছে বলে একাধিক রাজ্য সরকার যে লম্বাচওড়া দাবি জানিয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার কমিশন। রাজ্যে খাটা পায়খানা উচ্ছেদ হয়েছে, এই দাবির সত্যতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার এক বিবৃতিতে কমিশন জানিয়েছে, ‘দেশের যে কোনও প্রান্তে হাতে জঞ্জাল কুড়ানির সংখ্যা নিয়ে ভ্রান্ত রিপোর্ট পেশ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়ভার নিতে হবে।’জঞ্জাল কুড়ানিদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় কোনও সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে তাঁদের যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। এর ফলে মনরেগা কর্মীদের মতো তাঁদের বিকল্প আয়ের সুযোগ থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, ছোট ব্যবসা শুরু করার জন্য এই সমস্ত সাফাই কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের এককালীন ৪০,০০০ টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে কমিশন।