বিহারে তেতো ওষুধ গ🍒িলতে হল বিজেপিকে। গেরুয়া শিবিরের হাত ছেড়ে ইস্তফা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। যিনি এবার আরজেডির সমর্থনে ফের বিহারের কুর্সিতে বসতে চলেছেন। সূত্রের খবর, নয়া জোট সরকারে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী। যে আরজেডির সঙ্গ ২০১৭ সালে ছে🐼ড়ে দিয়েছিলেন নীতীশ।
মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ রাজভবনে পৌঁছান নীতীশ। ১৬০🎃 বিধায়কের সমর্থনপত্র দিয়ে সরকার গঠনের দাবি জানান। তারপর রাজভবনের বাইরে নীতিশ বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ইস্তফা দিয়েছি।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘এনডিএ তথা বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে দেওয়া পুরোপুরি দলের (জেডিইউয়ের) সিদ্ধান্ত।’
২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে উঠে এসেছিল আরজেডি। এককভাবে ৭৫ টি আসন পেয়েছিল লালুপ্রসাদ যাদবের দল। সবমিলিয়ে ১১০ টি আসনে জিতেছিল আরজেডির নেতৃত্বাধীন জোট। বিজেপি জিত𝄹েছিল ৭৭ টি আসনে। জেডিইউ মাত্র ৪৫ টি আসনে জিততে পেরেছিল। তবে সার্বিকভাবে ম্যাজিক ফিগার পার করে গিয়েছিল এনডিএ জোট। ১২৫ টি আসনে জিতেছিল।
কিন্তু গত দু'মাস ধরে অভিযোগ উঠতে থাকে, মহারাষ্ট্রের শিবসেনার মতো জেডিইউকে দুটি ভাগে ভেঙে দিতে চাইছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে এমনিই মাত্র ৪৫ জন বিধায়ক নিয়ে দুর্বল জেডিইউ পুরোপুরি কোমায় চলে যেত। সেই পরিস্থিতিতে আজ বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে দিয়েছে নীতিশের জেডিইউ। নীতিশের দলকে সমর্থন জানিয়েছে এনডিএয়ের জোটে থাকা হিন্দুস্তা๊নি আওয়ামি মোর্চাও। যে দলের হাতে চার বিধায়ক আছেন।
আরও পড়ুন: Bihar Political Crisis: ফের📖 পালটি খেলেꦐন নীতিশ কুমার, একনজরে ডিগবাজির ইতিহাস
আপাতত কোন দলের হাতে কতগুলি আসন আছে?
আপাতত বিহারের বিধানসভায় মোট ২৪২ বিধায়ক আছে। এক আরজেডি বিধায়কের মৃত্যু হয়েছে। বিজেপির হাতে ৭৭ জন, জেডিইউয়ের হাতে ৪৫ জন, আরডেজির হাতে ৭৯ জন, কংগ্রেসের হাতে ১৯ জন, বামেদের হাতে ১৬ জন বিধায়ক আছেন। চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি মাত্র এ🦹কটি আসনে জিতেছিল। সেই পরিস্থিতিতে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যার অনেক বেশি বিধায়ক আছে নীতিশ, লালুদের হাতে (কংগ্রেস এবং বামেদের ধরলে)।
যদিও বিজেপির দাবি, বিহারের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন নীতিশ। বিহা♛রের বিজেপির সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়াল বলেন, 'আমরা এ🐎নডিএয়ের ছাতার তলায় ২০২০ সালে বিধানসভা ভোটে লড়াই করেছিলাম। জেডিইউ এবং বিজেপির পক্ষে গিয়েছিল বিহারের জনাদেশ। আমরা বেশি আসনে জিতেছিলাম। তারপরও নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল। আজ যা হয়েছে, তা বিহারের মানুষ এবং বিজেপির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।'