করোনাভাইরাস সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জন্য ল্যাবরেটরির উপর ক্রমশ চাপ বাড়ছে। সেই পরিস্থিতিতে ল্যাবগুলির উপর চাপ কমানোর জন্য কোনও ব্যক্তির যদি একবার আরটি-পিসিআর বা র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাহলে দ্বিতীয়বার তাঁদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা না করার পরামর্শ দিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)।মাসখানেক ধরে ভারতে যেভাবে করোনার ঢেউ আছড়ে পড়েছে, তাতে ল্যাবগুলির উপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময় টেস্টের রিপোর্ট দেওয়া যাচ্ছে না। সেই পরিস্থিতিতে দেশের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানের তরফে অ্যাডভাইজারি জারি করে আরটি-পিসিআর টেস্ট কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আইসিএমআরের অ্যাডভাইজারি অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নীতি মেনে করোনা থেকে সেরে ওঠা রোগীদের হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সময়ও নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন হবে না। সেইসঙ্গে আন্তঃরাজ্য ভ্রমণের ক্ষেত্রেও বাধ্যতামূলকভাবে আরটি-পিসিআর টেস্টের প্রয়োজন নেই বলে কেন্দ্রকে জানিয়েছে আইসিএমআর। অ্যাডভাইজারিতে বলা হয়েছে, ‘ল্যাবরেটরির উপর চাপ কমাতে আন্তঃরাজ্য ভ্রমণের ক্ষেত্রে যে ব্যক্তিরা সুস্থ আছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে আরটি-পিসিআর টেস্টের নিয়ম তুলে দেওয়া যায়।’ তবে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় জরুরি কারণ ছাড়া ভ্রমণ এবং উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিদের (করোনার বা ফ্লুয়ের মতো উপসর্গ) আন্তঃরাজ্য ভ্রমণ এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উপসর্গহীন যে ব্যক্তিরা জরুরি কারণে ভ্রমণ করবেন, তাঁদের করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় সুরক্ষাবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে আইসিএমআর।