বিশ্বকল্যাণ পুরকায়স্থ/ ডেভিড লইতফ্লাং
𝄹ফের ভয়াবহ পরিস্থিতি উত্তরপূর্বে। টানা বৃষ্টি আর তার সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে ধস। তার জেরে অসম ও মেঘালয় মিলিয়ে অন্তত ১১জনের মৃত্য়ু হয়েছে। তার মধ্যে ৬জন শিশুও রয়েছে। গত তিনদিনে অবিরাম বৃষ্টির জেরে আরও অবনতি হয়েছে পরিস্থিতির।
💖আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, গত সাতদিনে অসম ও মেঘালয় মিলিয়ে অন্তত ১২৫ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। আগামী ১৯জুন পর্যন্ত আবহাওয়া দফতর এই দুই রাজ্যে লাল সতর্কতা জারি করেছে।
🧸স্থানীয় সূত্রে খবর,অসমে হুসেন আলি ও আসমা খাতুন নামে দুই নাবালক বৃহস্পতিবার আজাদনগর এলাকায় মারা গিয়েছে। জীবন্ত অবস্থায় দেওয়াল চাপা পড়ে যায় তাদের উপর। তারা ঘরে ঘুমোচ্ছিল। সেই সময় দেওয়াল চাপা পড়ে যায় তাদের উপর।
🌳মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে ধসের জেরে দুজন নির্মাণকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। একটি নির্মীয়মান বিল্ডিং ধসে যায় প্রবল বৃষ্টিতে। চলতি বছরে এনিয়ে ৪৪জনের মৃত্য়ু হল অসমে অতিবৃষ্টি ও ধসের জেরে। এদিকে জোরহাটের কাছে ব্রহ্মপুত্র নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।
ꦐপ্রশাসন সূত্রে খবর, বাজালি, বাকসা, বঙ্গাইগাঁও, চিরাং, দারাং, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, ডিমা হাসাও, গোয়ালপাড়া, হোজাই, কামরূপ, মাজুলি, লখিমপুর, নলবাড়ি, উদলগিরি, তামুলপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
𒁃ডিমাহাসাও ও কামরূপ মেট্রোপলিটন এলাকায় সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ASDMA'র মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক জ্ঞানেন্দ্র দেব ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, ধসের ব্য়াপারটা খুব উদ্বেগের। ধসপ্রবণ এলাকা থেকে দূরে থাকার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে।