কলেজিয়াম বিতর্🗹কে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট ও কেন্দ্রের মধ্যে একাধিক চর্চা উঠে আসতে শুরু করেছে। সদ্য সংসদে কলেজিয়াম ইস্যুতে অবস্থান স্পষ্ট করেছে কেন্দ্র। এরপর🔥 সুপ্রিম কোর্টে শিঘ্রই বিচারপতি নিয়োগে নিয়েও কেন্দ্রের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল বার্তা দিয়েছেন। এই আবহেই আরও এক বড় মোড় নিচ্ছে কলেজিয়াম বিতর্ক ইস্যু। শোনা যাচ্ছে, বিচারবিভাগের বিরুদ্ধে মন্তব্যের অভিযোগে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় ও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর বিরুদ্ধে ওঠা মামলার শুনানি বম্বে হাইকোর্টে হতে পারে ৯ ফেব্রুয়ারি। বম্বে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় সিংগঙ্গাপুরওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চে এই শুনানি হতে পারে।
উল্লেখ্য, কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে সদ্য উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় বলেন, ‘জনগণের দ্বারা ভোটে নির্বাচিত আইনসভার সদস্যদের পাশ করা আইনকে দেশের শীর্ষ আদালত অসাংবিধানিক বলছে, এমন নজির বিশ্বে নেই কোথাও।’ এদিকে, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু এই কলেজিয়াম ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। সেই প্রেক্ষিতে নতুন করে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, উপরাষ্ট্রপতি ধনখড় ও আইনমন্ত্রী রিজিজু 'সংবিধানকে আক্রমণ করেছেন সম্পূর্ণ দায়হীনভাবে'। অভিযোগ আনা হয়েছে, উপরাষ্ট্রপতি ধনখড় ও আইনমন্ত্রী রিজিজু সরাসরি বিচারব্যবস্থাকে আক্রমণ করেছেন ‘অপমানজনক ও নিচু মানেপ ভাষা দিয়ে, যা সংবিধানের আওতায় উপলব্ধ কোনও উপায় ব্যবহার না করেই করা হয়েছে।’ ( পড়ুয়াকಌে বকুনি, শাস্তি দেওয়া শি🌺ক্ষকের 'অপরাধ' নয়, সাফ বার্তা কোর্টের)
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে মোদী সরকার দেশের দুই দশক পুরনো কলেজিয়াম ব্যবস্থাকে পাল্টে দিতে উদ্যোগ নেয়। মূলত, দেশের হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টগুলিতে বিচারপতি নিয়োগ ঘিরে ছিল এই কলেজিয়াম ব্যবস্থা। কলেজিয়াম ব্যবস্থায় বদল এনে জাতীয় বিচারবিভাগীয় নিয়োগ কমিশন গড়ার সিদ্ধান্তের পথে হাঁটে কেন্দ্র। কিন্তু সুপ্রিম🐓 কোর্টে এই কমিশন গড়ার সিদ্ধান্ত ধাক্কা খায়। দেশের শীর্ষ আদালতে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই কমিশনের ব্যবস্থা নিয়ে উদ্যোগকে নস্যাৎ করে কলেজিয়াম বহাল রাখার কথা বলে। আর সেই প্রসঙ্গেই, সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্যের পর ওই মন্তব্য করেন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়। এই গোটা বিতর্কে কেন্দ্রের তরফে প্রশ্ন কলেজিয়াম ব্যবস্থার স্বচ্ছ্বতা ঘিরে। অভিযোগ, সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের প্রতিনিধিত্ব থাকছে না কলেজিয়ামের ব্যবস্থাপনায়। অন্যদিকে, বিচারবিভাগের দাবি, বহু সময় বিচারপতিদের নিয়েগের প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হলেও তা বিভিন্ন কারণে বিলম্বিত হচ্ছে। ফলে থেকে যাচ্ছে শূন্যপদ।