আসন্ন দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের জনꦺ্য সোমবার দ্বিতীয় লিস্ট প্রকাশ করল বিজেপি। সেখানে বড় চমক হরি নগর থেকেহ টিকিট পেয়েছেন তেজিন্দর বগ্গা। বিজেপির টুইটার স্টার বগ্গা বর্তমানে দলের দিল্লি শাখার মুখপাত্র।
টুইটারে বিজেপির সবচেয়ে প্রভাবশালী অ্যাকাউন্টগুলির মধ্যে একটি হল তেজিন্দর বগ্গার। স্বরা ভাষ্কর থেকে কুনাল কামরা, বিজেপি বিরোধীদের বিরুদ্ধে টুইট যুদ্ধে মাতেন তিনি। তবে অভিনব প্রচার করার জন্যই জনপ্রিয় তিনি।বিভিন্ন মেসেজ লেখা টি-শার্ট বিক্রিও করেন তিনি। হরিনগর থেকে টিকিট পাওয়ার পরেই করে ফেলেছেন বগ্গা-Rap. #Bagga4HariNagar মঙ্গলবার সকালে টুইটারে এক নম্বর ট্র💮েন্ড।
অনেকে ভেবেছিলেন হয়তো কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে লড়বেন বগ্গা। বগ্গার নি🤪জের ইচ্ছে ছিল তিলক নগর থেকে লড়াই। প্রথম তালিকায় নাম না থাকায় অনেকে বিদ্রুপ করেছিল তাঁকে নিয়ে। কিন্তু হরিনগর থেকে দলকে জেতানোর গুরুদায়িত্ব তাঁকে সঁপে দিল বিজেপি নেতৃত্ব।
প্রথমবার ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টে প্রশান্ত ভূষণের চেম্বারে ঢুকে তাঁকে মারধর করে শিরোনামে আসেন তেজিন্দর সিং বগ্গা। কোনও লুকোছাপা নয়, প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছিলেন যে তথাকথিত দেশবিরোধী মন্তব্য করার জন্য ভূষণকে মেরেছেন তিনি। তখন ভগত্ সিং ক্রান্তি সেনার ন𝓡েতা বলেছিলেন যে অপারেশন প্রশান্ত ভূষণ সফল। হিসাব বরাবর করা হল। এরপর অরুন্ধতী রায়ের অনুষ্ঠানে জোর করে প্রবেশ করে তাঁর ওপর আক্রমণ করার চেষ্টা করেন বগ্গা ও তাঁর দলবল। পাক হাইকমিশনের দেওয়ালে বালুচিস্তান মুক্ত করার পোস্টারও সেঁটে দেন তিনি।
এরপর ২০১২ তে সৈয়দ আলি শাহ গিলানিকে আক্রমণ করেন তাঁর দল। ২০১৫ সালে নমো পত্রিকা শুরু করেন তিনি। সেই বছরই টুইটার ইনফ্লুয়েন্সার হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে ডাক পান তিনি। এরপরে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বগ্গাকে। ২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কলক𒅌াতাতেও এসেছেন তিনি। গ্রেফতার বরণও করেছেন শহরে। এবার ফের এক নয়া চ্যালেঞ্জ তাঁর সামনে। অনলাইন স্টার বগ্গা অফলাইন নির্বাচনী যুদ্ধের কঠোর বাস্তবে জিততে পারেন কিনা এখন সেটাই দেখার।