☂১৯৮৭ সালে ভারতীয় শান্তিরক্ষা বাহিনী শ্রীলঙ্কায় গিয়েছিল। অপারেশন পবনের অন্যতম অঙ্গ ছিলেন তাঁরা। তবে সেই সময় তাঁদের রেশন সরবরাহের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল একে গুপ্তাকে এই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছিল নিম্ন আদালত। তবে মাদ্রাজ হাইকোর্ট এটা খারিজ করে দিয়েছে।
♈সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি জি জয়াচন্দ্রন জানিয়েছেন, মেজর জেনারেলেরে বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা প্রমাণিত নয়। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, যদি ধরে নেওয়া যায় মেজর জেনারেল দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন রেশনের আইটেম সরবরাহের ক্ষেত্রে তিনি নিয়ম নীতি মানেননি তবে সেটাতে এটা প্রমাণিত হয় না যে তিনি সরকারের ক্ষতিসাধন করেছেন। কারণ সেই যে রেশনের উপকরণ সেটা শেষ পর্যন্ত সরবরাহ করা হয়েছে। সেটা ব্যবহারও করা হয়েছে।
ℱতিনি জানিয়েছেন, এই মামলায় দেখা গিয়েছে এ-৩ যে রেট দিয়েছিল সেটাই ছিল সর্বনিম্ন। এক্ষেত্রে সরকারের কোনও ক্ষতি হয়নি। অথবা যিনি সরবরাহ করেছিলেন তাদের কোনও অতিরিক্ত লাভ হয়নি।
🐷প্রসঙ্গত ১৯৯০ সালের ৫ নভেম্বর মেজর জেনারেল একে গুপ্তার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। আসলে শ্রীলঙ্কায় অপারেশন পবনে ভারতীয় সেনারা নিযুক্ত ছিলেন। তাদের কাছে রেশন পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপার ছিল। কিন্তু সেই সেই রেশন পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন মেজর জেনারেল। তবে তিনি পদাধিকার বলে রেশন পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা নিয়ম ভেঙেছিলেন বলে অভিযোগ। তিনি কিছু ফার্মকে বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এর জেরে দেশের ক্ষতি হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। এরপর কোর্ট অফ এনকোয়ারির জেরে ওই মেজর জেনারেলের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়।
☂তাঁকে জেনারেল কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি হতে হয়। তবে তিনি ১৯৯০ সালের ৯ জুন পালিয়ে যান। ২৯ অক্টোবর অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ তাকে ধরে ফেলে।
🧸সিবিআই তদন্ত শুরু করে। ট্রায়াল শেষ হয় ২০১৩ সালের ৬ মে। মেজর জেনারেলকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে তিনি জানিয়েছিলেন পরিস্থিতির চাপে তিনি স্থানীয়ভাবে রেশন কিনেছিলেন। আর এটা সকলের মিলিত সিদ্ধান্ত ছিল। জরুরী ভিত্তিতে এটা করতে হয়েছিল। সেক্ষেত্রে আদালতের পর্যবেক্ষণ, ট্রায়াল কোর্ট খালি রেশন কতটা মজুত রয়েছে সেটা দেখেছে। শ্রীলঙ্কায় থাকা সেনাদের কী দরকার সেটা দেখেনি।