কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের মতো সিনিয়র বিরোধী নেতারা একসঙ্গে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুকে ১২ জন সাংসদের সাসপেনশন নিয়ে চলা রাজ্যসভার অচলাবস্থা শেষ করার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অꦗনুরোধ করতে পারেন। জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনি🌊য়া গান্ধীর সভাপতিত্বে হওয়া মঙ্গলবার একটি বৈঠক এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নেতারা জানান, তাঁরা নাইডুর সামনে হামিদ আনসারির উদাহরণ তুলে ধরতে পারেন। বলতে পারেন যে কীভাবে তাঁর পূর্বসূরি হামিদ আনসারি প্রায়শই তাঁর মেয়াদকালে এই ধরনের অচলাবস্থা শেষ করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতেন। সোনিয়া গান্ধীর বাসভবনে পা♉ঁচটি দলের নেতাদের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বেশ কয়েকটি রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন ছাড়াও উচ্চকক্ষে বিরোধীদের পরবর্তী পদক্ষেপ সংক্রান্ত কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছিল।
মঙ্গলবারের বৈঠকে সোনিয়া গান্ধী ছাড়াও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, দ্রাবিড় মুনেত্র কাজগম নেতা টিআর বালু, সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাহ, শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত এবং কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেনুগোপাল উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকেই সীতারাম ইয়েচুরি ২০১৫ সালের কথা মনে করান। সেই সময় সংসদে দীর্ঘদিন ধরে অচলাবস্থা চলছিল। তখন হামিদ আনসারি অচলাবস্থা কাটানোর জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে। এদিকে এদিনকার বৈঠকেও ১২ জন সাংসদের সাসপেনশনের নিন্দা জানানো হয়। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী দাবি করেন, সরকারের উচিত এই বিষয়টি মেটানো।꧋ তিনি ক্ষমা না চাওয়ার বিষয়ে এদিনও অনড় ছিলেন।