চলছে তৃতীয় পর্যায়ের ভ্যাকসিনেশন। প্রয়োজন আরও বেশি করোনা টিকার ডোজের। সেই চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন আরও বেশি দৈনিক উত্পাদন। কিন্তু, এত বিপুল হারে উত্পাদনের জন্য প্রয়োজন অনেক বেশি মূলধন। মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কর্তা আদার পুনাওয়ালা।সিরাম ইনস্টিটিউট কর্তার কথায়, 'উত্পাদন বৃদ্ধি করতে প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। আমরা বর্তমানে মাসে ৬ থেকে সাড়ে ৬ কোটি ডোজ টিকা প্রস্তুত করছি। এর থেকে সংখ্যাটা বৃদ্ধি করতে হলে আরও টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।'আদার পুনাওয়ালা জানান, কোভিশিল্ড করোনা টিকা ভারতের বাজারে ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু আসল দাম প্রায় ১,৫০০ টাকা। মোদী সরকারের অনুরোধ মেনে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে ভ্যাকসিনে। ফলে লাভের পরিমাণ সামান্যই।লাভের পরিমাণ সামান্য হওয়ায় নতুন করে বিনিয়োগ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আদার পুনাওয়ালা। বিপুল পরিমাণ উত্পাদন বৃদ্ধির জন্য সেক্ষেত্রে প্রয়োজন সহায়তা।উত্পাদন হার বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরীর জন্য লাগবে সময়ও। অন্তত ৮৫ দিন সময় লাগবে যন্ত্রাদি বৃদ্ধি, কাঁচামালের বর্ধিত যোগান, কর্মী বৃদ্ধি ইত্যাদি পরিকাঠামোগত কাজে।'আমরা দৈনিক ২০ লক্ষ ডোজ করোনা টিকা উত্পাদন করছি। মাসে অন্তত ৬ থেকে সাড়ে ৬ কোটি। এখনও পর্যন্ত আমরা ভারতে ১০ কোটি ডোজ করোনা টিকা সরবরাহ করেছি। রফতানি করেছি ৬ কোটি ডোজ করোনা টিকা,' জানালেন আদার পুনাওয়ালা।প্রসঙ্গত, বিশ্বের বৃহত্তম টিকা উত্পাদক সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা উত্পাদন করছে এই সংস্থা। ভারতে বর্তমানে স্বীকৃত দুটি করোনা ভ্যাকসিনের মধ্যে একটি SII-র কোভিশিল্ড।