বৈদেশিক মুদ্রার আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে আরও কড়া ইডি। গত সপ্তাহেই চিনা স্মার্টফোন সংস্থা Xiaomi-র বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাখা ৫,৫২১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে ইডি।হিন্দুস্তান টাইমসের পর্যালোচনা করা সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ED ২০১৬-১৭ থেকে ২০২১-২২-এর মধ্যে (৩০ নভেম্বর, ২০২১ পর্যন্ত) FEMA-র অধীনে ১৭,১৮৯ টি তদন্ত শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত গত অর্থবর্ষেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক তদন্ত চালিয়েছে ইডি। সবমিলিয়ে গত পাঁচ বছরে ৪,৩১২ কোটি টাকার জরিমানা আরোপ করা হয়েছে, বলছে সরকারি তথ্য।ফেমা-তে ২০১৫ সালে একটি সংশোধনী হয়। 37A ধারা যুক্ত হয়। এই সংশোধনীর পরে, ED এখন ভারতে সম্পত্তি অ্যাটাচ করতে পারে। কোনও সম্পদ নিয়ম লঙ্ঘন করে ভারতের বাইরে রাখা হলেই তা করতে পারবে ইডি। তারপর থেকে অনেক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কিন্তু আইন অনুযায়ী, এই ধরনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত শুধুমাত্র ১৮০ দিনের জন্য বৈধ। এটি PMLA (মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন) অনুযায়ী বিচারকারী কর্তৃপক্ষের নিশ্চিতকরণের শর্তাধীন। অর্থাত্ উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিশ্চিতকরণের প্রয়োজন। PMLA-এর মতোই, FEMA-র অধীনে গ্রেফতারের কোনও কঠোর ক্ষমতার উল্লেখ নেই।