করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কার মাঝেই গতকাল থেকে শুরু হয়েছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের কোভিড টিকাকরণ। আর টিকাকরণের প্রথম দিনই দেশজুড়ে ৪১ লক্ষ কিশোর-কিশোরী কোভিড টিকা নিলেন। এই পরিসংখ্যানে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রী এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘কোভিডের প্রকোপ থেকে আমাদের যুবসমাজকে বাঁচাতে আমরা আজ একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছি৷ আমার সেইসব ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী বন্ধুদের অভিনন্দন, যারা আজকে টিকা নিয়েছে৷ তাদের বাবা-মায়েদেরও অভিনন্দন৷ আমার আবেদন আগামী দিন আরও অনেকে যাতে টিকা নেয়৷’কোউইন পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দেশে ৪১ লক্ষ ২৭ হাজার ৪৬৮ কিশোর-কিশোরী করোনা টিকা নিয়েছে। 41,27,468 কিশোর-কিশোরীদের টিকাকরণের এই পরিসংখ্যান প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বলেন, ‘ভারতের টিকাকরণ অভিযানের মুকুটে এটি নতুন পালক।’ তিনি টুইট বার্তায় লেখেন, ‘ভালো কাজ করেছে ভারতের যুবরা। ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণের প্রথম দিনে রাত ৮টা পর্যন্ত ৪০ লক্ষ কিশোর-কিশোরী করোনা টিকা নিয়েছে। এটা ভারতের টিকাকরণ অভিযানের মুকুটে আরও একটি পালক।’দেশজুড়ে এখনও পর্যন্ত ৫১ লক্ষেরও বেশি কিশোর-কিশোরী সরকারি কো-উইন পোর্টালে কোভ্যাক্সিন টিকার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছে৷ উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কো-উইন অ্যাপে অথবা টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে৷ ২০০৭ সাল বা তার আগে যাদের জন্ম তারা টিকা নিতে পারবে বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে৷ টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে৷ টিকা দেওয়ার পর আধঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করা হবে সংশ্লিষ্ট টিকা প্রাপককে৷ ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের উপর আপাতত শুধুমাত্র কোভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হবে। এবং প্রথম ডোজের ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।অন্যদিকে কলকাতার ১৬টি বরোর ১৬টি স্কুলেও কোভিড টিকা দেওয়া হচ্ছে। বাগবাজার মাল্টিপারপাস গার্লস স্কুল, টাউন স্কুল, বেথুন কলেজিয়েট স্কুল, শাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল, চেতলা গার্লস হাইস্কুল, সন্তোষপুর ঋষি অরবিন্দ বালিকা বিদ্যালয়-সহ বিভিন্ন স্কুলে পড়ুয়াদের টিকাকরণ শুরু হয় গতকাল থেকে।