বৃন্দা তুলসীয়ান
একে তো প্রচন্ড গরম। তার মধ্য়ে গুদাম ঘরের ভ্যাপসা অবস্থা। আম🎃াজনের কর্মীরা পড়েছেন মহা সমস্য়ায়। এদিকে তাপমাত্রা কোথাও আবার ৫০ ডিগ্রি চলে যাচ্ছে। সেই পরিস্থতিতে এবার আমাজনের গোডাউনে যারা কর্মরত তারা চাইছেন যেন তাদের কাজের পরিবেশ আগের তুলনায় কিছুটা ভালো হয়🦂। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে।
♉হরিয়ানার সেই কর্মচারী সংগঠনের নেত্রী মঞ্জু গোয়েল বলেন একেবারে অমানবিক অবস্থা। ক꧒োথাও ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা নেই। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ২০০০ কর্মী সমস্যার মধ্য়ে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের হাজার দশেক টাকা করে বেতন। কিন্তু ১০ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। প্রায় টানা দাঁড়িয়ে থেকে তাদের কাজ করতে হয়।
গোয়েল বলেন, ওয়াশরু🅺মে যেতে পারি না। গরমের সময় প্রচন্ড কষ্ট। অপর এক কর্মী ২৫ বছর বয়সি নেহা বলেন, ১০-১২ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। টানা কাজ। সেই ভোর ৫টা থেকে শুরু হয়। কয়েকজনকে রোজ ২৫ কিমি হাঁটতে হয়। নেহা বলেন, ব্রেক টাইমেও ম্যানেজাররা নজরদারি করেন। এমনকী সেই সময় স্ক্রুটিনির জন্য ডাকা হয়।
তাঁরা বলেন, আমাজনের নিয়মে একদিন অসুস্থতা বা পার🐭িবারিক কারণে না এলে কার্ড ব্লক হয়ে যায়🐼। এর জেরে সমস্যা বাড়ে।
꧒তবে শ্রমমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে বিষয়টি জানা ছিল না। খোঁজ নেওয়া হবে।
তবে এনিয়ে আমাজনের তরফে সরাসরি মন্তব্য করা হয়নি। তবে তাদের 𓃲তরফে বলা হয়েছে যে আমা🧸দের সহযোগীদের সেফটি ও ভালো থাকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রবল গরম হচ্ছে। আর্দ্রতা ক্রমশ বাড়ছে। হিট স্ট্রেস প্রিভেনশন প্রোগ্রাম নেওয়া হবে। রাস্তায় যারা ডেলিভারির কাজ করেন তাদেরও সচেতন করা হবে। গোডাউন গুলিতে ভেন্টিলেশন বৃদ্ধি করা হবে। এয়ার কন্ডিশনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
নেহা বলেন, অনে💜ক সময় ভারী বোঝা বইতে গিয়ে অজ🧸্ঞান হয়ে পড়ছে। সেই সময় একটা প্যারাসিটামল দিয়ে ফের কাজে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
আমাজন ইন্ডিয়া ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ধর্মেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, তাপপ্রবাহ মারাত্মক। সহ্য করা যাচ্ছে না। লোডিং, আনলোডিং এরিয়া,♚ স্ক্যানিং, প্যাকিং এরিয়া থেকে নানা খবর আসছে। তবে অনেক জায়গায় এসি থাকলেও কর্মীরা বলছে♚ন তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির উপর চলে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, কর্ম𒅌ীদের টার্গেট দেওয়া আছে। সেটা তারা পালন করে যাচ্ছে। বলা হয়েছে যাতে বিশ্রাম না নেয়।