পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর আদতে বিদেশি জা🌠য়গা। কবি এবং সাংবাদিক আহমেদ ফারহাদ শাহের গ্রেফতারির প্রসঙ্গে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে স্বীকার করে নিল পাকিস্তান সরকার। অভিযোগ উঠেছে যে তাঁকে পাকিস্তান সরকার গুম করে দিয়েছিল। আর পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই পরিস্থিতিতে হাইকোর্টে ইসলাবাদের তরফে যে মন্তব্য করা হয়েছে, তাতে পাকিস্তানের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর যখন বিদেশের জায়গা, তখন সেখানে কেন রেঞ্জার্স (পাকিস্তানের সেনা) পাঠানো হত? বিষয়টি নিয়ে আপাতত ভারতের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
বিষয়টি ঠিক কী হয়েছে?
সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনু𓂃যায়ী, গত ১৪ মে রাওয়লপিণ্ডি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান ফারহাদ। তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে ১৫ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী উরুজ জাইনাব।
বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেল মনসুর উসমা আওয়ান জানান যে ফারহাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর♎ের পুলিশের হেফাজতে আছেন। পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে তাদের হেফাজতে আছেন ফারহাদ। ধীরকোট এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু ক𓂃রা হয়েছে।
পাকিস্তান সরকার কী বলছে?
শুক্রবার ফের সেই মামলার শুনানি হয়। ফারহাদের আইনজীবীর উপস্থিতিতে সেই মামলা শোনেন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি মহসিন আখতার কন্যানী। সেইসময় অ্যাডিশনাল অ্যাটর্ন🌜ি জেনারেল তথা সরকার পক্ষের আইনজীবী মুনাওয়ার ইকবাল দাবি করেন যে আগামী রবিবার পর্যন্ত হেফাজতে থাকবেন🔥 ফারহাদ। তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে পরিবারের সদস্যদের। বেআইনিভাবে আটকে রাখার মামলা বন্ধ করে দেওয়ার আর্জি জানান পাকিস্তানের অ্যাডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল।
যদিও পালটা ফারহাদের আইনজীবী জানান যে কবির সঙ্গে দেখা করতে ধীরকোট থানায় গিয়েছিলেন পরিবারের সদജস্যরা। কিন্তু সেখানে তিনি ছিলেন না। পরে জানানো হয় যে তদন্তের জন্য তাঁকে মুজফ্ফরাবাদে নিয়ে আনা হয়েছে। সেই সওয়াল শোনার পরে পাকিস্তান সরকারের আর্জি খারিজ করে দেন বিচারপতি কন্যানী। তিনি জানান, যেদিন ফারহাদকে আদালতে পেশ করা হবে, সেদিন সেই মামলা খারিজ করা হবে।
‘পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর বিদেশি জায়গা’
তারইমধ্যে একাধিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের একটি থানার হেফাজতে আছেন ফারহাদ। তাঁকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে পেশ করা যাবে না। কার🀅ণ ওই এলাকাটি বিদেশি এলাকার মধ্যে পড়ে। যা পাকিস্তানের হাতে নেই। যে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর আদতে ভারতের অংশ বলে বরাবরই স্পষ্টভাবে জানিয়েছে নয়াদিল্লি।