সেই ১৯৯৮ সাল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লিতে থাকছে পাকিস্তানি হিন্দু ব্যক্তি। পাকিস্তানের গুপ্🥂তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হল। গত বুধ🌺বার (১৭ অগস্ট) ভোর পাঁচটা নাগাদ দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির সঞ্জয় কলোনি থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভাগচাঁদ নামে ওই পাকিস্তানি হিন্দু ১৯৯৮ সালে ভারতে এসে൲ছিল। তখন থেকেই ভারতে আছে। ভারতের নাগরিকত্বও পেয়েছে। সংসারের আর্থিক অবস্থা তেমন স্বচ্ছল ছিল না। দিনমজুরি করে সংসার চালাত। দিনে আয় হত মেরেকেটে ৬০০ টাকা। বাবা, মা, সন্তানদের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির সঞ্জয় কলোনি দুই কামরার বাড়িতে থাকত।
কীভাবে ভাগচাঁদকে গ্রেফতার করা হল?
একাধিক সংবাদমাধ্যমের ꦛপ্রতিবেদন অনুযায়ী, ভাগচাঁদের আগে গুপ্তচরবৃত্তির মামলায় নারায়ণ লাল নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। নারায়ণকে জেরা করেই ভাগচাঁদের বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি এবং রাজস্থান পুলিশ𓄧ের যৌথ দলের জেরার মুখে ভিলওয়ারার বাসিন্দা নারায়ণ দাবি করেছিল, কোনও একজনকে পাঁচটি ভারতীয় সিমকার্ড পাঠিয়েছিল ভাগচাঁদ। তারপরই ভাগচাঁদকে গ্রেফতারির পরিকল্পনা করে পুলিশ। সেইমতো পিৎজা ডেলিভারি বয় সেজে বুধবার ভোরে ভাগচাঁদকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: Imran Khan Bashes Pak 𒀰Army: ‘ইতিহাস ক্ষমা করবে না’, সরাসরি পাক সেনাকে তোপ ই🎃মরান খানের
ইন্ডিয়া টুডে'র প্রতিবেজন অনুযায়ী, ভাগচাঁদের মামার সূত্র ধরে ওই পাকিস্তানি হিন্দুর সঙ্গে দেখা করেছিল এক আইএসআই অপারেটিভ। যে অপারেটিভ আবিদ নামে পরিচিত। তারপর হোয়্য♍াটসঅ্যাপে দু'জনের কথাবার্তা শুরু হয়। রাজস্থান পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ভাগচাঁদ জানিয়েছে যে পাকিস্তানি নম্বর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করত আবিদ।
আরও পড়ুন: ভারত-পাক সীমান্তের কাছে পাখির পায়ে বাঁধা স্যাটেলাইট ট্যাগ,গুপ্তচ💛র নয় অন্যকিছু?
ভাগচাঁদ কীভাবে চরবৃত্তি করত?
একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজস্থান পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জেরায় ভাগচাঁদ জানিয়েছে যে ভারতের সেনা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় রেকি করত সে। সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতানোর চেষ্টা করত। সেই পরিকল্পনা করেই এগোত। গুপ্তꦚচরবৃত্তির জন্য ভাগচাঁদকে আবিদ টাকা দিতে বলে একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।