সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই উত্তাল থেকেছে উভয় কক্ষ। তবে মঙ্গলবার সংসদে যা হয়, তা অভূতপূর্ব বলেই জানাচ্ছেন বহু পর্যবেক্ষকরা। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় বেঞ্চের উপর উঠে রাজ্যসভার চেয়ার লক্ষ্য করে একের পর এক ফাইল ছুঁড়তে থাকেন কংগ্রেস সাংসদ প্রতাপ সিং বাজওয়া। সেই সময় বিরোধী সাংসদরা ওয়েলে নেমে স্লোগান তুলতে থাকেন। উল্লেখ্য, এর আগে মন্ত্রীর হাত থেকে ছিনিয়ে কাগজ ছেঁড়ার দায়ে গোটা অধিবেশনের জন্য বহিষ্কৃত হন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর জেরে একদিনের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছিলেন তৃণমূলের ৬ সাংসদ। তবে এই কঠোর পদক্ষেপের পরও বিরোধী দলের সাংসদরা সংসদের গরিমা বজায় না রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন জারি রেখেছেন।প্রসঙ্গত, কৃষক আন্দোলন, পেগাসাস বিতর্ক, মুদ্রাস্ফীতি, করোনা পরিস্থিতি, টিকার অপ্রতুলতা-সহ নানা ইস্যুতে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে আগাগোড়া উত্তপ্ত রয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। বিরোধীদের হইচইয়ের কারণে বারবার মুলতুবি করে দিতে হয়েছে সভার কাজ। কিন্তু তার মধ্যেও একের পর এক বিল পাস করিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তা নিয়েও সমালোচনায় মুখর বিরোধীরা। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রীতিমতো তাণ্ডব চলে রাজ্যসভায়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কড়া নিন্দা জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত, কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর, রাজ্যসভায় বিজেপির সদস্য কেজি আলফন্স সহ একাধিক নেতা। সবাই একবাক্যে বলেন, সাসংদদের থেকে এই আচরণ কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর আগের দিনই পেগাসাস ইস্যু প্রকাশ্যে আসে। ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। সাংবাদিক, বিরোধী নেতা থেকে শুরু করে বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের নামও উঠে আসে সেই তালিকায়। এরপর থেকেই বিরোধীদের নিশানায় কেন্দ্র। বাদল অধিবেশনের একেবারে প্রথম দিন থেকেই পেগাসাস ইস্যুতে দফায় দফায় উত্তাল হয়েছে সংসদ ভবন। বার বার অধিবেশন মুলতুবি হয়েছে। সংসদের কার্যপ্রণালি অচল হয়েছে।