রাজধানীর চিত্তর൩ঞ্জন পার্কের পৌষমেলা কারোর অজানা নয়। বহু বছর ধরে চিত্তরঞ্জন পার্কের বঙ্গীয় সমাজ এই পৌষমেলা আয়োজন♔ করে আসছে। পিঠেপুলি, পাটিসাপটা, গুড়ের পায়েস - বাদ যায় না কোনটাই। সঙ্গে থাকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এইবারও সেই নিয়মে হেরফের হয়নি। তবে এই ৪৬তম বর্ষে একটু অন্যরকম মেজাজে সিআর পার্ক মাতিয়ে তুলল কলকাতার ব্যান্ড ফকিরা।
ফকিরাকে শুধুই বাংলা ব্যান্ডের তালিকায় ফেললে অবশ্য ভুল হবে। ফিউশনে বিশ্বাসী ফকিরা হল বাংলার এক প্রতিভাবান ফোক ব্যান্ড। তাদের বিশেষত্বের ক🥂থা উল্লেখ করতে গিয়ে ব্যান্ডের ড্রামার অভিরূপ দাস আকা বান্টি বললেন, 'আমরা বিভিন্ন বাউল, ফকিরের আখড়ায় গিয়ে গান শুনে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে তবেই কাজ করি। আমরা চেষ্টা করি যেন গানের ভাবটা বজায় থাকে।'
'ফকিরার 'হরেকৃষ্ণ' গানটিতে ব্যবহৃত বেশিরভাগ অংশ নেওয়া হয়েছে বাংলার এক সাধক কবি ভবা পাগলার লেখা 'এখনও সে বৃন্দাবনে' গানটি থেকে। ভবা পাগলা ১৪ বছর কলা গাছ দিয়ে তৈরি একটি গুহাতে কাটিয়েছিলেন এব📖ং সেখানে বসেই এই গানটি লিখেছিলেন। আমরা 'হরেকৃষ্ণ' গানটিতে নরোত্তম দাস ঠাকুরের লেখা কৃষ্ণ নামের একটি পদের কিছুটা অংশও ব্যবহার করেছি,' বললেন ব্যান্ডের গিটারিস্ট চয়ন চক্রবর্তী।
ꦺপৌষমে♈লায় ফকিরার পারফরম্যান্স পূর্ণতা পেয়েছে তিমির বিশ্বাসের কণ্ঠে, কুণাল বিশ্বাসের বেজ ও অপূর্ব দাসের গিটারে।
'গোলেমালে পিরিত কর না' গানের মা🦋ঝে বান্টির হঠাৎ বাজানো ঢাকের তালে তাল মিলিয়ে মেতে ওঠে গোটা সিআর পার্ক। তখন কে বলবে এটা দিল্লির সিআর পার্ক না কলকাতার মোহরকুঞ্⛦জ!
বান্টির কথায়, 'ঢাক ব൲াঙালির সেন্টিমেন্ট। দিল্লির বাঙালি পাড়ায় এসে শ্রোতাদের একটু🌳 ঢাকের বাজনা শোনাব না, তা কি হয়।'
💯ফকিরার সেই অন্যরকম লোকগীতির সুরে মে🎃তে ওঠেন দিল্লির বাঙালিরা। এনিয়ে বঙ্গীয় সমাজের তরফে বলা হয়,'ফকিরাকে ডাকার মূল কারণ হল, তারা ফোক ব্যান্ড। আর পৌষমেলার সঙ্গে লোকগীতি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে।'
আরও একটি বিষয় ফকিরাকে বাংলার অন্যান্য ব্যান্ডের থেকে বেশ খানিকটা আলাদা করে তুলেছে। তা হল তাদের পোশাকে। বা🐬ংলা ব্যান্ডের জগতে ধুতি ও কুর্তা পরে পারফর্ম করার নজির বোধহয় খুব কমই দেখা গিয়েছে।
প্রথম অ্যালবাম 'ইতরপোনা'-র সাফল্যের পর, ফꦆকিরা আপাতত দ্বিতীয় অ্যালবাম 'হরেকৃষ্ণ' রিলিজের প্রস্তুতি নিচ্ছে।