রাশিয়ার ব্রিকস সম্মꦛেলন চলাকালীন, বুধবারই (২৩ অক্টোবর⛎, ২০২৪) আলাদাভাবে মুখোমুখি হতে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। গত পাঁচবছরে এই প্রথম তাঁদের মধ্য়ে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে চলেছে। ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ এই বৈঠক শুরু হবে।
আন্তর্জাতিক মহলের মতে, এদিনের এই আলাপচারিতা দুই দেশের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ, সদ্য চিন ও ভারতের মধ্য়ে সমঝো🅰তা হয়েছে যে তারা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলদারি চালাবে এবং সেই টহলদারি চালানোর সময়, এই দুই দেশের মধ্য়ে কোনও পক্ষই একে-অপরের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করবে না। আর তারপরই বৈঠকে বসতে চলেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।
এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্ত্রী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে একটি দ্বিপাক্💖ষিক বৈঠক হবে। ব্রিকস সম্মেলনের মূল কর্মসূচির পাশাপাশি এই বৈঠক 𓄧অনুষ্ঠিত হবে।'
উল্লেখ্য, এ🀅র আগে শেষবার এই রাষ্ট্রনেতা সরকারিভাবে আলোচনায় বসার জন্য মুখোমুখি হয়েছিলেন ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে। সেবার মহাবলীপুরমে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন শি জিনপিং।
তার ঠিক কয়েক মাস পরই ২০২০ সাল🔯ে লাদাখে চিনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় সেনার সম্মুখ সংঘাত শুরু হয়। যে ঘটনায় ভারতের ২০ জন সেনা সদস্য শহিদ হন। পাশাপাশি, চিনেরও একাধিক সেনার মৃত্য়ু হয়।
২০১৯ থেকে ভারত-চিনের ম✃ধ্য়ে দ্বন্দ্বের প্রধান কারণসমূহ:
১) ডোকালাম সংঘাত:
যদিও এই সংঘাত ঘটেছিল ২০১৭ সালে। কিন্তু, তার জের ছিল দীর্ঘস্থায়ী। ডোকালামের একটি বিতর্কিত অঞ্চলে হঠাৎই পাকা রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করে চিন। ভারত সেই কাজে বাধা দেওয়াতেই সংঘাতের সূত্রপাত হয়। যা চলেছিল টানা ৭৩ দিন। প্রসঙ্গত, ওই এলাকা ভারত ও চিনের প💝াশাপাশি ভুটানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২) ২০১৯ সালে সীমান্তে উত্তেজনা:
২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্য💝াহার করে নেয় ভারত সরকার। চিন এই বদলের প্রতিবাদ জানায়। বিশেষ করে লাদাখ নিয়ে তারা আপত্তি তোলে। এমনকী, এই ঘটনা রাষ্ট্রসংঘে উত্থাপিত করে তারা। ফলে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়।
৩) ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘাত:
২০২০ সালের মে থেকে এই সংঘাত শুরু হয়। পূর্ব লাদাখের একাধিক অংশে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রে🌼খায় সংঘাতে জড়ায় দুই দেশের সেনা।
৪) ২০২০-২১ সালে প্য়াংগং সংঘাত:
২০২০-২১ সালের চিনের বিরুদ্ধে প্যাংগং এলাকার চরিত্র বদলের অভিযোগ তোলে ভারত। তা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে নতুন করে অশান্তি শুরু𓂃 হয়। একাধিকবার আলোচনার পর ভারত ও চিন, দুই পক্ষই সেখানকার একাধিক অংশ থেকে সামরিকবাহিনীকে সরিয়ে নেয়।
৫) ২০২১ সালে দেসপ্যাং সমতল ও গোগরা এলাকার বিবাদ:
২০২১ সালে দেসপ্যাং সমতল ও গোগরা এলাকায় চিনা সেনাবাহিনী লাগাতার ভারতীয় বাহিনীর টহলদারিতে বা🤡ধা দিতে থাকে। ২০২১ সালের জুলাই মাসে গোগরায় সমস্যার꧅ আংশিক সমাধান হলেও বাদবাকি অংশে ঝামেলা চলতে থাকে।
৬) অরুণাচলপ্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে সংঘর্ষ:
২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে অরুণাচলপ্রদেশের তাওয়াং সে♚ক্টরে সংঘর্ষে জড়ায় ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী।
৭) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় শান্তি ফেরাতে ২০২০ সাল থেকে দুই দেশের সামরিকবাহিনীর পাশাপাশি কূটনৈতিক স্তরেও আলোচনা চলছে। যদিও সমস্ত সমস্যা আজও মেটেনি। কিছু জায়গায় টহলদারি চালাতে এখ🀅নও বাধা পেতে হচ্ছে।
৮) দুই দেশই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার দুꦏই পাশে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অরুণাচল ও লাদাখে রাস্তা-সহ অন্য়ান্য পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে ভারত। অন্যদিকে, চিনও তিব্বত এবং জিনজিয়াং-এ নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।