কর্ণাটকে চালকের তৎপরতায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত🐎 থেকে রক্ষা পেল ট্রেন। ট্র্যাকের উপরে রাখা হয়েছিল লোহার পাত এবং গাছের গুড়ি। তা দেখতে পেয়ে দ্রুত ট্রেন থামিয়ে দিলেন চালক। এই ঘটনায় ট্রেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। গত রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছিল কর্ণাটকের নানজানগুড এবং কাদাকোলা স্টেশনের মাঝে। চামর🥂াজানগর-মাইসোর এক্সপ্রেসের চালক এগুলি লাইনে পড়ে থাকতে দেখে ট্রেন থামিয়ে দেন। যার ফলে বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় ট্রেন।
আরও পড়ুন: মহিষকে ধাক্কা, ফের লাইনচ্যুত যাত্রীবাহী ট্রেন, বন্ধ থা💜কল ꦏরেল পরিষেবা
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা ৩ জনেই ওড়িশারไ বাসিন্দা। তারা মাইসোরের একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে। ধৃতদের নাম হল সোমে মারান্ডি (২২), ভজানু মুর্মু (২৮) এবং দশমত মারান্ডি (৩২)৷ জিআরপির সুপার এসকে সৈম্যালথা জানিয়েছেন, ধৃতদের আদালতে তোলা হয়েছে। মামলাটি এখন কর্ণাটক জিআরপি তদন্ত করছে।প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, তিন অভিযুক্ত 𝔍রেল লাইনের ওপর বসে মদ খাচ্ছিল। তখন তারা মদ্যপ অবস্থায় রেল লাইনের ওপর লোহার পাত এবং গাছের গুড়ি রাখছিল। চালক সেগুলি দেখতে পেয়ে জরুরি ব্রেক কষে ট্রেন থামিয়ে দেন। তা না হলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় সহকারী নিরাপত্তা কমিশনার, আরপিএফ, ডগ স্কোয়াড সহ জিআরপি। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সৌমেকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, ওড়িশার ময়ুরভঞ্জ জেলার বাসিন্দা সৌমে সেখান থেকে চলে গেলেও পরে সেখানে সে আবার ফিরে আসে। সেই সময় তাকে গ্রেফতার করে জিআরপি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্য দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার কারণে ট্রেনটি ১০ মিনিট দেরিতে ছাড়ে। মাইসোর বিভাগের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যা🔥নেজার (ডিআরএম) শিল্পী আগরওয়াল এই ঘটনার পরেই ট্র্যাকের উপর নজরদারি বাড়াতে বলেছেন। তিনি জানান, যারা রেলের সম্পত্তির ক্ষতি করার চেষ্টা করছে বা নাশকতার পরিকল্পনা করছে তাদের বিরুদ্ধে🐽 কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিআরএম আরও বলেন, যে এই অপরাধের♔ অধীনে তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। ডিআরএমের নির্দেশের পরেই ওই বিভাগের রেল লাইনগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্ওথা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেল।