লিটার প্রতি দুধের দাম বাড়াচ্ছে আমুল। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত বলে গুজরাত কো–অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশনের তরফে জানানো হয়েছে। ফেডারেশনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১ জুলাই থেকে আমুল দুধের সমস্ত ব্র্যান্ডে লিটার পিছু ২ টাকা দাম বাড়বে। দুধ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে একটি। যেভাবে দুধের দাম বাড়ানো হল, তাতে মধ্যবিত্তের ওপর আরও বোঝা বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।এদিন ফেডারেশনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় ১ বছর ৭ মাস পর আমুলের দুধের দাম বাড়ানো হল। যেভাবে দিনের পর দিন উৎপাদন খরচ বাড়ছে, সেকথা মাথায় দুধের দাম বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা ছিল। ফেডারেশনের তরফে ম্যানেজিং ডিরেক্টর আর এস সোধী জানান, ‘এই দাম বৃদ্ধি আমুলের দুধের সমস্ত ব্র্যান্ড অর্থাৎ গোল্ড, তাজা, শক্তি, টি–স্পেশাল সহ সমস্ত ব্র্যান্ডে প্রযোজ্য হবে। যেভাবে খাদ্যশস্যের মূদ্রাস্ফীতি হয়েছে, তাতে এই দাম বাড়ানো ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না।’ একইসঙ্গে ফেডারেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানিয়েছেন, শুধু উৎপাদন খরচই নয়, প্যাকেজিংয়ের পিছনে খরচও বেড়ে গিয়েছে। প্যাকেজিং খরচ প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি পরিবহণ খরচও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ৩০ শতাংশ খরচ বেড়েছে। একইসঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচও বেড়ে গিয়েছে। প্রায় ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমুল দুধের দাম বাড়ানো সঠিক সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছে ফেডারেশন।একইসঙ্গে ফেডারেশনের তরফে জানানো হয়েছে, আমুলের দুধের দাম বৃদ্ধির ফলে এর সুবিধা দুগ্ধ উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী পাবেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পুরো উৎপাদন প্রক্রিয়াটাই যেহেতু সমবায় পদ্ধতিতে চলে, ক্রেতারা যদি ১ টাকা দেয়, সেই ১ টাকার মধ্যে প্রায় ৮০ পয়সা যায় যারা দুগ্ধ উৎপাদনে সঙ্গে যুক্ত তাঁদের ঘরে। ফলে যেভাবে দুধের দাম বাড়ানো হয়েছে, তার সুফল দুগ্ধ ব্যবসায়ীরা পাবেন। এরফলে আরও বেশি করে দুধ উৎপাদনের ওপর জোর দিতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।