আগেকার দিনে বাঁ কাঁধে নয়, ডান কাঁধেই শাড়ির আঁচল নিতেন মহিলারা। কিন্তু এক সময় থেকে বাঁ কাঁধেই শাড়ির আঁচল নেওয়ার রীতি চালু হয়। আর এর নেপথ্যে থাকা কাহিনীই শোনালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তির অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডান কাঁধে শাড়ির আঁচল নিয়ে বিভিন্ন কাজকর্ম করতে সমস্যায় পড়তেন মহিলারা। আর এই সমস্যার সমাধান করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা সত্যেন্দ্রনাথের স্ত্রী জ্ঞানদানন্দিনী দেবী।’প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘দেশের প্রথম আইসিএস আধিকারিকের স্ত্রী ছিলেন জ্ঞানদানন্দিনী দেবী। স্বামী আহমেদাবাদে কর্মরত থাকায় বেশ কিছুদিন সেখানে বাস করেছেন ব্রাহ্মসমাজের শীর্ষ স্তরের সঙ্গে জড়িত জ্ঞানদানন্দিনী। সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে থাকা ঠাকুর পরিবারের মহিলারা ছিলেন উচ্চ শিক্ষিত।’বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা সত্যেন্দ্রনাথ আহমেদাবাদে আইসিএস অফিসার হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী জ্ঞানদানন্দিনী দেবীও সেখানেই থাকতেন। তিনি সেখানে এটা লক্ষ্য করেন যে সেখানকার স্থানীয় মহিলারা শাড়ির আঁচল রাখতেন ডান কাঁধের ওপরে। আর সে কারণে কাজ করতে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হত তাঁদের। বাঁ কাঁধে শাড়ির আঁচল নেওয়ার এই ভাবনাটি প্রথমে জ্ঞানদানন্দিনী দেবীর মাথাতেই আসে।’প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না তবে এটা বলা হয় যে বাঁ কাঁধের ওপর শাড়ির আঁচল রাখার রীতি চালু হয় জ্ঞানদানন্দিনী দেবীর হাত ধরেই।’ তাঁর মতে, মহিলা ক্ষমতায়ন বা উইমেন এমপাওয়ারমেন্টের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনের এ নিয়ে পড়াশোনা, গবেষণা করা উচিত।একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ৩৫ মিনিটের ভাষণে সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর–সহ রবীন্দ্রনাথের পরিবার এবং গুজরাতের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের যোগের ওপরও জোর দেন। তাঁর কথায়, গুজরাতে নিজের দুটি কবিতা লিখেছিলেন কবিগুরু। ‘ক্ষুধিত পাষাণ’–এর একটি অংশও গুজরাতে থাকাকালীন লিখেছিলেন বলে জানান মোদী। শুধু তাই নয়, ভক্তি আন্দোলনের সঙ্গেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যোগসূত্র খুঁজে বের করেন তিনি।