ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মাঝে মস্কোর থিয়েটারে ভয়াবহ ꦯহানায় শুক্রবার শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এই হামলা ঘিরে ইউক্রেনের দিকে কার্যত আঙু🍬ল তুলে দিলেন ইউক্রেনের দিকে। বিস্ফোরক মন্তব্যে পুতিন দাবি করেছেন, মস্কোর থিয়েটারে হামলাকারীরা ইউক্রেনের দিকে পালানোর সময় গ্রেফতার হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, রয়টার্সের রিপোর্ট রাশিয়ার রাষ্ট্রনেতাকে উদ্ধৃত করে দাবি করেছে যে, পুতিন বলছেন, ইউক্রেন সীমান্তের ওপারে হামলাকারীদের ফিরে যাওয়ার জন্যও নাকি ব্যবস্থা ছিল। এদিকে, রুশ রাষ্ট্রপ্রধানের বক্তব্যের পরই কিয়েভ রাশিয়ার তত্ত্ব খারিজ করে।
মস্কোর থিয়েটার হল-এ নারকীয় হামলার দায় ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে জঙ্গি শিবির ইসলামিক স্টেট। সেই এলোপাথারি গুলি চালনার ঘটনায় ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন অন্তত ১১৫ জন। গত কয়েক দশকে এই হামলা মস্কোর বুকে সবচেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর। এদিকে, হামলার পর রাশিয়ার তরফে সদেশের রাষ্ট্রপ্রধান ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, হামলাকারীরা ‘ পালাতে চেষ🌠্টা করছিল ইউক্রেনের দ🌱িকে। প্রাথমিক তথ্যে জানা যাচ্ছে, তাদের পথ সুগম করার ব্যবস্থাও ইউক্রেনের সীমান্তের ওপার থেকে ছিল।’ এছাড়াও দেশের জনতার প্রতি বক্তব্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘ রক্তক্ষয়ী, বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে আমি আজ আপনাদের সাথে কথা বলছি। যে ঘটনার শিকার কয়েক ডজন নিরীহ, শান্তিপূর্ণ মানুষ... আমি ২৪ শে মার্চকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করছি।’পুতিন বলেন,'সমস্ত অপরাধী, সংগঠক এবং যারা এই অপরাধের নির্দেশ দিয়েছে তাদের ন্যায়সঙ্গত এবং অনিবার্যভাবে শাস্তি দেওয়া হবে। তারা যেই হোক না কেন।' রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন,'যারা সন্ত্রাসীদের পিছনে রয়েছে, যারা এই নৃশংসতা তৈরি করেছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে, আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে এই হামলা করেছে, আমরা তাদের চিহ্নিত করব এবং শাস্তি দেব।'
পুতিনের দাবি, রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত দিয়ে ইউক্রেনের দিকে পালাতে চেষ্টা করছিল ওই হামলাকারীরা। পুতিন বলছেন, ‘এই সন্ত্রাসবাদী হামলার সঙ্গে জড়িত, যারা বহুজনকে খুন করেছে, তাদের ৪ জনকেই ধরা হয়েছে। তারা ইউক্রেনের দিকে যাচ্ছিল, আমরা নিশ্চয়ই তাদের চিহ্নিত করব যারা সন্ত্রাসের নেপথ্যে রয়েছে। যারা এই হামলার প্রস্তুতি নিয়েছে।’ মস্কোতে এই হামলꦑার সঙ্গে ইউক্রেনের যোগের দাবি যেখানে করছেন পুতিন, সেখানে ইউক্রেনের তরফে বারবার এই নারকী♉য় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনও যোগ থাকার তত্ত্ব উড়িয় দেওয়া হচ্ছে।