ঘরোয়া সমস্যায় ফেঁসে মার্কিন প্রেসিডেট জো বাইডেন। সেই কারণে কেঁচে গেল চার দেশের রাষ্ট্রনেতাদের কোয়াড বৈঠক, যা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ২৪ মে। মূলত ঋণের উর্ধ্বসীমা নিয়ে আলোচনা তেমন ভাবে না এগোনোয় দেশেই থাকার সিদ্ধান্ত নেন বাইডেন। সেই কারণেই মুলতুবি হয়ে গেল এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক যেখানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও উপস্থিত থাকার কথা ছিল। প্রসঙ্গত জাপানে G7 সামিটে যাবেন জো বাইডেন। তারপরে পাপুয়া নিউগিনি ও অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু জাপান থেকেই এবার দেশে ফিরবেন মার্কিন নেতা। কোয়াড বৈঠক বাতিল হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন অজি প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। তাঁকে ফোন করে না আসার কথা জানিয়েছেন বাইডেন। অ্যালবানিজ বলেন আমেরিকায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাই আগামী সপ্তাহে কোয়াডের মিটিং হচ্ছে না। তবে জাপানে জি৭ বৈঠকের এক ফাঁকে ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার রাষ্ট্রনেতারা হয়তো এক ফাঁকে বৈঠক সেরে নেবেন। কোয়াডভুক্ত দেশগুলি একসঙ্গে বৈঠক করার এই সুযোগ যে হারাবে না সেটা স্পষ্ট করে দেন তিনি। এই সপ্তাহের শেষে শনি ও রবিবার জাপানে জি৭-এর বৈঠক, যেখানে অন্যদের সঙ্গে মোদীও উপস্থিত থাকবেন। প্রসঙ্গত মোদীর জাপান, পাপুয়া নিউ গিনি ও অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার কথা আছে। এখন কোয়াড বৈঠক না হওয়ায় তিনি তার সফর কাটছাঁট করবেন কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে চাপে বাইডেন। ঋণের উর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি করতে কিছুতেই রাজি নয় রিপাবলিকানরা, যতক্ষণ না খরচার ওপর রাশ টানা হচ্ছে। পরিস্থিতি খুব সঙ্কটময় হয়ে গেলে স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে আমেরিকার অর্থনীতি। সেই জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ অস্ট্রেলিয়া ও পাপুয়া নিউ গিনি সফর বাতিল করলেন বাইডেন। মূলত চিনের লালচক্ষুর সামনে এই দেশগুলিকে বলভরসা দিতেই সেখানে যেতে চাইছিলেন তিনি। মোদী ও বাইডেনের একই সময় পাপুয়া নিউ গিনিতেও থাকার কথা ছিল। একসঙ্গে দুই রাষ্ট্রনেতা প্যাসিফিক দ্বীপপুঞ্জের ওই দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন সেটাও অনুমান করা হচ্ছিল। অন্যদিকে ইন্দো-প্যাসিফিকে যাতে নির্দ্বিধায় বাণিজ্য হতে পারে, মুক্ত ভাবে সবাই যাতায়াত করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল কোয়াডের বৈঠক। প্রকাশ্যে নাম না করলেও এই বৈঠকগুলির নেপথ্যে বড় ছায়া এশিয়ার সবচেয়ে বড় শক্তি চিনের। আমেরিকার অনুপস্থিতিতে সেই আয়োজনগুলি নিশ্চিত ভাবেই এখনকার জন্য পিছিয়ে গেল।