আশিক হুসেন১৩৫দিনের ভারত জোড়়ো যাত্রা একেবারে শেষ প্রান্তে এসে গিয়েছে। রবিবার কাশ্মীরের লালচকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে কেউ খুশি নন। অন্যদিকে জম্মু থেকে লালচক পর্যন্ত যাত্রা করার জন্য তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। তিনি(অমিত শাহ) যদি মনে করেন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিস্থিতি ঠিকঠাক রয়েছে তবে তিনি সেখানে যাত্রা করতে পারেন।রাহুল গান্ধী বলেন, বিজেপি ও আরএসএসের ঘৃণার বিরুদ্ধে এই ভারত জোড়়ো যাত্রা ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্বের একটি বিকল্প পথ দেখিয়েছে।কাশ্মীরে প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, যখন আমি জম্মুতে গিয়েছিলাম, আমি জম্মু, লাদাখ ও কাশ্মীরের মানুষের সঙ্গে দেখা করেছি। কিন্তু কেউ খুশি নন। সেটাই প্রথম কথা। গোটা দেশের মতোই এখানকার একটা বড় ইস্যু বেকারত্ব, সুযোগের অভাব ও দুর্নীতি। তিনি বলেন, এমন একজনের সঙ্গেও আমার দেখা হল না যিনি সুখী রয়েছেন।রাহুল বলেন, অত্যন্ত শক্তিশালী একটা আবেগ কাজ করছে। আমি খোলা মন নিয়ে কাশ্মীরে এসেছি। সকলের পাশে থাকতে চাই আমি। এখানে যে অভ্যর্থনা পেয়েছি তাতে আমি কৃতজ্ঞ।এদিকে কাশ্মীরের জন্য যে প্রতিশ্রুতি ছিল সেটা কেন পালন করা হয়নি সেই প্রসঙ্গে অবশ্য যেতে চাননি রাহুল।তিনি বলেন, কোনও টার্গেট কিলিংয়ের ব্যাপার নেই। বোমা বিস্ফোরণের ব্যাপার নেই। বিজেপির লোকজন জম্মু থেকে লাল চক পর্যন্ত কেন যাত্রা করছেন না। যদি পরিস্থিতি ঠিক থাকে তবে জম্মু থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত কেন পদযাত্রা করছেন না অমিত শাহ? গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে ফিরিয়ে আনার দাবিতে সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধী।তিনি বলেন, সমস্ত রাজ্যেই বিধানসভা আছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাও রয়েছে। লাদাখ ও কাশ্মীরে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া প্রয়োজন। যা চলছে তাতে লাদাখের লোকজনও খুশি নন। তিনি বলেন, এটা ভারত জোড়ো যাত্রা। সেখানে আমরা হেঁটেছি।এটা একটা বিকল্প দিশা দেখিয়েছে। তিনি বলেন, জীবনের দুটি পথ রয়েছে। একটি হল সকলকে ঐক্যবদ্ধ করা। অপরটি হল সকলকে দাবিয়ে রাখা। তিনি বলেন, আরএসএস বিজেপি দেশের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দিতে চাইছে। সংসদ, বিধানসভা, বিচারব্যবস্থা, মিডিয়া সর্বক্ষেত্রে এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।