দক্ষিণী রাজ্য কর্ণাটকের প্রাক্তন ডিজিপি (ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ) ওম প্রকাশের মৃত্যু ঘিরে প্রথম থেকেই নানা প্রশ্ন উঠছিল। এবার সেই ঘটনায় রহস্য আরও ঘনীভূত হল। কারণ, প্রয়াত প্রাক্তন পুলিশকর্তার মৃত্যুর জন্য তাঁরই বিধবা স্ত্রীকেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে! ইন্ডিয়া টুডে টিভি অনুসারে - এই ঘটনায় প্রয়াত ওম প্রকাশের স্ত্রী পল্লবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওম প্রকাশেরই ছেলে কার্তিকেশ! এমনকী, এও শোনা যাচ্ছে - পল্লবীই যে তাঁর স্বামীকে খ🧸ুন করেছেন, সেকথা নাকি তিনি নিজেই এক বন্ধুকে করা ভিডিয়ো কলꦛে স্বীকার করেছেন!
কার্তিকেশের দাবি, তাঁর মা মানসিকভাবে একেবারেই সুস্থ নন। বস্তুত, তিনি এক গুরুতর মানসিক ব্যধিতে আক্রান্ত। সেই কারণেই তিন🃏ি তাঁর স্বামী ওম প্রকাশকে খুন করে থাকতে পারেন বলে অভিযোগ করেছেন কার্তিকেশ।
একই দাবি পরিবারের অন্য সদস্যরাও ♕করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাঁরা জানিয়েছেন, পল্লবী মাঝেমধ্যেই আতঙ্কিত হয়ে পড়তেন। তাঁর মনে হত, তাঁর স্বামী তাঁর কোনও ক্ষতি করতে পারেন! এমনকী, তাঁর স্বামী নাকি তাঁকে একাধিকবার আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ভয়ও দেখিয়েছেন! সূত্রের দাবি, পল্লবী নিজে পরিবারের সদস্যদের কাছে বারবার এমন অভিযোগ করেছেন।
সূত্র🥃ের আরও দাবি, পল্লবী মাঝেমধ্যেই বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে পারেন না। বদলে তিনি তাঁর চারপাশে এমন একটি জগৎকে কল্পনা করে নেন, যার কোনও বাস্তব অস্তিত্বই নেই! ফলে, তিনি বিভ🅘্রান্ত হয়ে পড়েন।
এখনও পর্যন্ত তদন্ত যত দূর এগিয়েছে, তাতে ওম প্রকাশকে খুনের সম্ভাবনাই ক্রমশ প্রবল থেকে প্রবলতর হচ্ছে। এবং তার জন্য ওম প্রকাশের স্ত্রী পল্লবী ও তাঁর মেয়ে কৃতীকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছে পুলিশ। বস্তুত, ইতিমধ্যেই এই ඣঘটনায় তাঁদের দু'জনকে পাকড়াও করেছে তারা।
কার্তিকেশ পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তাঁর মা পল্লবী স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। গত ১২ বছর ধরে তাঁর চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে সেই পল্লবী এ𒐪ই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত।
গতকাল (রবিবার - ২০ এপ্রিল, ২০২৫) পল্লবী ও তাঁর মেয়ে কৃতীকে জিজ্ঞাসাবাদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। বেঙ্গালুরু পুলিশের প্রধান বি দয়ানন্দ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রয়াত ওম প্রকাশের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাঁকে কোনও ধারাল অস্ত্র ಌদিয়ে কোপানো হয়েছিল বলে মনে করাဣ হচ্ছে। তাঁর ঘাড়ে ও পেটে অসংখ্যবার কোপ মারা হয়েছিল। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, সেই সময় প্রয়াত প্রাক্তন পুলিশকর্তার দেহের চারপাশে কার্যত রক্তবন্যা বয়ে যাচ্ছিল!
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছ, খুব সম্ভবত রবিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ওম প্রকাশকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। এই প্রসঙ্গে পুলিশের চিফ বলেন, 'প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, ভিতরের কোনও কারণেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।♈ আমাদের অনুমান, এই ঘটনায় কোনও ধারাল অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে🦂। যে কারণেই এত অধিক পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং তার জেরেই মৃত্যু ঘটেছে।'
টাইমস অফ ইন্ডিয়া অনুসারে, পল্লবী নাকি প্রথমে তাঁর স্বামীর চোখে-মুখে লঙ্কাগুঁড়ো ছিটিয়ে দেন এবং তারপর তাঁকে খুন করেন! 🐠শুধু তাই নয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, স্বামীকে খুন করার পরই এক বন্ধুকে ভিডিয়ো কল করেন পল্লবী। সেই ভিডিয়ো কলে তিনি বলেন, 'আমি রাক্ষসটাকে মেরে ফেলেছি!'