কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে৷ নিহত রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব৷ বৃহস্পতিবার ভোরে টেকনাফ উপজেলার হ্নিলা ইউনিয়নের শরণার্থী শিবির সংলগ্ন দমদমিয়া পাহাড়ি এলাকায় এ গোলাগুলির ঘটনার কথা ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন র্যাব ১৫-এ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ৷ র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী নিহত ৪০ বছরের নুরুল আলম নুরু ওই এলাকার একটি ডাকাত বাহিনীর প্রধান৷উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ বলেন, ‘অস্ত্রধারীরা ডাকাতি ও অপহরণের উদ্দ্যেশে জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে র্যাব অভিযান চালায়৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে৷ র্যাব সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পালটা গুলি ছোড়ে৷ একপর্যায়ে তারা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে নুরুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পায় র্যাব৷ তাকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন৷ অভিযানে র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন৷’ তিনি আরো বলেন, ‘নুরু একজন চিহ্নিত ডাকাত৷ নুরু নিজের নামে ডাকাত বাহিনী গড়ে তুলে বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজি, খুন ও মাদক কারবার-সহ নানা অপরাধ করত৷ এসব অভিযোগে টেকনাফ থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে৷’ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, তিনটি লম্বা বন্দুক ও চারটি গুলি বের করা হয়েছে৷ ময়নাতদন্তের জন্য দেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ৷