রোহিত ভেমুলা দলিত ছিলেন না। বরং প্༒রকৃত পরিচয় ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন রোহিত। এমনই দাবি করল কংগ্রেস-শাসিত রাজ্য তেলাঙ্গানার পুলিশ। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ভেমুলার মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের ফাইল 'ক্লোজ' করে শুক্রবার তেলাঙ্গানা হাইকোর্টে রাজ্য পুলিশের তরফে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, তাতেই সেই দাবি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সেকেন্দ্রবাদের তৎকালীন সাংসদ বান্দারু দত্তাত্রেয়, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আপ্পা রাও, তৎকালীন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) নেতাদের ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে। আর সেই ঘটনাকে 'অযৌক্তিক' বলে উষ্মাপ🍸্রকাশ করেছেন রোহিতের ভাই রাজা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, পুলিশের রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে রোহিতের পরিবারের যে জাতিগত শংসাপত্র ছিল, সেটা জ🥀ালিয়াতি করা হয়েছিল। উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে সেই মামলার তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ তদন্তের ফাইল 'ক্লোজ' করে দেওয়া হচ্ছে বলে তেলাঙ্গানা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
রোহিতের ভাইয়ের প্রতিক্রিয়া
তেলাঙ্গানা হাইকোর্টে রাজ্য পুলিশের তরফে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার ঘটনায় হতবাক হয়ে গিয়েছেন রোহিতের ভাই। তিনি দাবি করেছেন, পুলিশ যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তা অযৌক্তিক। সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে কীভাবে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করবে⛦🌊ন, সেটাও বুঝতে পারছেন না বলে দাবি করেছেন রোহিতের ভাই।
আরও পড়ুন: ♏Rohith Vemula Case: রোহিত ভেমুলার মৃত্যু তদন্ত 'ক্লোজ' করল পুলিশ, উপাচার্য, বিজেপি নেতাদের অব্যাহতি
রোহিতের পরিবারের সামনে এখনও আইনের রাস্তা খোলা আছে। ওই সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিম্ন আদালতে আবেদন করতে পারে রোহিতের পরিবার। যদিও রো🅷হিতের পরিবারের তরফে নিম্ন আদালতে কোনও মামলা দায়ের করা হবে কিনা, তা নিয়ে আꦍপাতত কিছু জানাননি রাজা। রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি শুধু জানিয়েছেন যে শনিবার তাঁরা তেলাঙ্গানার রেভান্থ রেড্ডির সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন।
রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার ঘটনা
২০১৬ সালে আতﷺ⛄্মহত্যা করেছিলেন রোহিত। তারপরই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দলিতদের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে দেশজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছিল। উত্তাল হয়েছিল দেশ। পরবর্তীতে সেই মামলার জল অনেকদূর বিস্তৃত গড়িয়েছে। আর শেষপর্যন্ত রোহিতের মৃত্যুর আট বছর পরে তদন্তের ফাইল 'ক্লোজ' করে দেওয়ার পথে হাঁটল তেলাঙ্গানা পুলিশ। আর যে সময় তেলাঙ্গানা পুলিশের তরফে সেই পদক্ষেপ করা হল, যার চার মাস আগেই দক্ষিণ ভারতের রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস।