সনাতন বিতর্কের আঁচ গিয়ে পড়েছে আদালতের দোড়গোড়ায়। এই আবহে সনাতন ধর্ম নিয়ে তাঁর মনোভাবের ভিত্তি জানতে উদয়নিধিকে প্রশ্ন করল মাদ্রাস হাই কোর্ট। এর আগে এই মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন, পুলিশের গাফিলতিতেই সনাতন ধর্ম বিলুপ্ত করার অধিবেশন আয়োজন করা হয়েছে। বিতর্কিত মন্তব্য করলেও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। আর এবার সরাসরি স্ট্যালিন পুত্রকে প্রশ্ন করেছে উচ্চ আদালত। বিচারপতি অনীতা সুমন্থ সেই বিতর্কিত মন্তব্যের লিখিত কপিও আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। (আরও পড়ুন: 🍸'মোদী-আদানি ভাই ভাই, বাকি সংস্থা বাই বাই', এথিক্স কমিটির রিপোর্ট নিয়ে তোপ মহুয়ার)
𒐪উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে সনাতন ধর্মকে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিনের ছেলে উদয়নিধি। তাঁর সেই মন্তব্য ঘিরে তুমুল রাজনৈতিক তরজা শুরু হয় দেশ জুড়ে। বিজেপি অভিযোগ করে, সনাতন ধর্মকে শেষ করার ডাক দিয়েছেন তামিল মন্ত্রী। ভারতের ৮০ শতাংশ মানুষকে গণহত্যা করার ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে এত বিতর্কের পরও নিজের অবস্থানে অনড় থেকে তিনি হুংকার দিয়েছেন যে দ্রাবিড়ীয় সংস্কৃতির মাটিতে যাতে সনাতন ধর্ম মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে সারাজীবন লড়াই চালিয়ে যাবেন।
💎সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে উদয়নিধি বলেছিলেন, 'বিশেষ ভাষণ প্রদানের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমি এই আলোচনাচক্রের উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সনাতন-বিরোধী আলোচনাচক্রের পরিবর্তে আপনারা এই আলোচনাচক্রের নাম দিয়েছেন সনাতন বিলুপ্তি আলোচনাচক্র। যে সিদ্ধান্তের প্রশংসা করছি।' উদয়নিধি আরও বলেছিলেন, 'কয়েকটি বিষয়ের বিরোধিতা করা যায় না। সেগুলি শুধুমাত্র ধ্বংস করে ফেলতে হয়। আমরা ডেঙ্গি, মশা, ম্যালেরিয়া বা করোনার বিরোধিতা করতে পারি না। আমাদের সেগুলিকে ধ্বংস করে দিতে হবে। ঠিক সেভাবেই আমাদের সনাতনকে নির্মূল করতে হবে। সনাতনের বিরোধিতার পরিবর্তে সেটাকে পুরোপুরি নির্মূল করা উচিত। সংস্কৃত থেকে সনাতন শব্দ এসেছে। যা সামাজিক ন্যায়বিচার ও সাম্যের ধারণার বিরোধী।' এরপরই এই নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। তবে নিজের অবস্থানে অনড় থেকেছেন উদয়নিধি। এমনকী তাঁর দলেরই এক মন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন, সনাতন ধর্মকে মুছতেই গঠিত হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। যাতে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক আরও বাড়ে। পরে সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আদালতে দায়ের হয়েছে মামলা।