মোরেটোরিয়ামে যদি ইএমআই না দিলে চলবে, তাহলে সেই অদেয় সুদের ওপর অতিরিক্ত সুদ কেন নেওয়া হবে, বুধবার ফের প্রশ্ন করল সুপ্রিম কোর্ট। এই অর্থ নেওয়া অযৌক্তিক বলেও জানায় সুুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ জানায় যে একবার যখন মোরেটোরিয়াম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তখন সেটার সুফল লোকজনের পাওয়া উচিত। সরকারের এই বিষয় হস্তক্ষেপ করা উচিত বলেও মনে করে সুপ্রিম কোর্ট, সব কিছু ব্যাঙ্কের ওপর না ফেলে রেখে। অগস্টের প্রথম সপ্তাহ অবধি মুলতুবি হয়ে গিয়েছে এই মামলা। আরবিআই ও কেন্দ্রকে বিষয়টি রিভিউ করে দেখতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। এই সময়কালে নতুন কোনও নির্দেশিকা আনা যায় কিনা, সেটা দেখতে বলা হয় ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশনকে। এদিন কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে সলিসিটার জেনারেল বলেন যে আরবিআই আগেই জানিয়েছে যে সুদ পুরো মুকুব করা সম্ভব নয় ঋণের ওপর, কারণ যারা ব্যাঙ্কে টাকা রাখেন তাদেরও তো সুদ দিতে হয়। তুষার মেহতা বলেন যে ১৩৩ লক্ষ কোটি টাকা ব্যাঙ্কে জমা আছে, যার সুদ দিতে হয়। যদি ধারের ওপর সুদ মুকুব করা হয়, তার প্রভাব এই লগ্নিকারীদের ওপর পড়বে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন। ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক হাল এতে খারাপ হয়ে যাবে বলেও তিনি জানান। এদিন ব্যাঙ্কে সংগঠনের পক্ষ থেকে এই মামলা তিন মাস পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। তারা বলে যে এই আবেদন এখনই করা উচিত নয়। অর্থনীতির পরিস্থিতি কী হয়, ,সেটা দেখে কেস টু কেস ভিত্তিতে ব্যাঙ্কগুলি এমন আবেদন বিচার করে দেখতে পারে। করোনাভাইরাসের জেরে যে লকডাউন, তাতে চাকরি হারিয়েছেন অনেকে। অনেকের মাইনে বন্ধ। এর জেরেই পয়লা মার্চ থেকে ছয় মাসের জন্য ইএমআই দেওয়ার ওপর মোরেটোরিয়াম দিয়েছে আরবিআই। অর্থাত্, এই সময় টাকা দিতে না পারলে কোনও ব্যবস্থা নেবে না ব্যাঙ্ক। লাগবে না কালির দাগও। কিন্তু এই মেয়াদকালে অদেয় অর্থের ওপর অতিরিক্ত সুদ দিতে হবে। ফলে আপনাকে বেশি টাকা দিতে হবে এইমআই হিসাবে পরবর্তী কালে। । সেই বিষয়টি নিয়েই এই মামলা। এসবিআইয়ের কৌসুলী মুকুল রোহাতগি বলেন যে বেশিরভাগ লোক জানে যে পরে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে, তাই ৯০ শতাংশ লোকই মোরেটোরিয়ামের সুযোগ নেয় নি।অন্যদিকে ব্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবী হরিশ সালভে বলেন, এমন নয় যে সবার অবস্থা খারাপ। নেটফ্লিক্সের তো ভালো ব্যবসা হচ্ছে !