করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে ভারত থেকে টিকা রফতানি থমকে গিয়েছিল। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হতেই ফের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিকে করোনা টিকা পাঠানোর বিষয়ে সবুজ সংকেত দিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই মতো নেপাল, মায়ানমার এবং বাংলাদেশকে ১০ লক্ষ করে কোভিশিল্ডের ডোজ পাঠানোর অনুমতি পেল পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। পাশাপাশি ভারত বায়োটেক 'ভ্যাকসিন মৈত্রী' প্রকল্পের অধীনে ইরানে কোভ্যাক্সিনের ১০ লক্ষ ডোজ পাঠাবে। চলতি মাসেই এই দুই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা টিকা রফতানি শুরু করে দেবে। সেরাম ইনস্টিটিউটের তরফে জানানো হয়, প্রায় ৩ কোটি ডোজ সরবরাহ করার অর্ডার পেয়েছে সংস্থা। এই আবহে টিকা রফতানি করার অনুমতি চেয়ে অগস্টেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্যের কাছে আবেদন জানায় সংস্থা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ২০ সেপ্টেম্বর জানান, চলতি বছরেরই শেষ ভাগে ভারত ফের অতিরিক্ত কোভিড টিকা রফতানি শুরু করবে। ভারত বায়োটেক বর্তমানে প্রতি মাসে ৩ কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে। আগামীতে তারা প্রতি মাসে ৫ কোটি করে টিকা উৎপাদন করতে সক্ষম হবে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে সেরাম ইনস্টিটিউট প্রতি মাসে কোভিশিল্ড উৎপাদন বাড়িয়েছে। বর্তমানে মাসে ২০ কোটির বেশি ডোজ উৎপাদন করছে সংস্থাটি। অক্টোবরে সেই উৎপাদন বেড়ে ২২ কোটি ডোজ হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তারা ৬৬ কোটি টিকার ডোজ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে।