পনেরো ফেব্রুয়ারি কি হাসপাতালে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ? তা নিয়ে রীতিমতো রাজনৈতিক তরজা শুরু হল মহারাষ্ট্রে। এনসিপি প্রধান শরদ ꦯপাওয়ার🌠 দাবি করলেন, সেই সময় হাসপাতালে ছিলেন দেশমুখ। পালটা বিজেপির দাবি, সেদিন রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করেছেন উদ্ধব ঠাকরের সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংয়ের অভিযোগের পর থেকে ঠাকরে সরকারকে রীতিমতো চেপে ধরেছে বিজেপি। তারইমধ্যে সোমবার দেশমুখের দলের সুপ্রিমো পাওয়ার 🐠দাবি করেন, গত ৫ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হাসপাতালে ভরতি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। হাসপাতাল থেকে ছাড়ার পর ২৭ ফেব্রুয়ার💜ি পর্যন্ত বাড়িতে নিভৃতবাসে ছিলেন। পরমবীর অভিযোগ করেছিলেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় মুম্বই পুলিশের অ্যাসিসট্যান্ট ইন্সপেক্টর সচিন ভাজকে ফোন করে প্রতি মাসে ১০০ কোটি টাকা তোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন দেশমুখ।
যদিও একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) পোস্ট করে মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীস দাবি করেন, ‘শ্রী শরদ পাওয়ারজি বলেছিলেন যে গত ৫ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িতে নিভৃতবাসে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। কিন্তু আদতে নিরাপত্তাকর্মী এবং সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে তাঁকে সাংবাদিক বৈঠক করতে দেখা গিয়েছিল।’ দেশমুখ নিজেও সেই সাংবাদিক বৈঠকের কথা অস্বীকার করেননি। টুইটারে তিনি জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারি নাগপুরের একটি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাই। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসার সময় সাং𒈔বাদিকরা তাঁকে কয়েকটি প্রশ্ন করেছিলেন।
তাতে অবশ্য বিজেপির আক্রমণ থামছে না। বরং একধাপ এগিয়ে দেশমুখ এবং উদ্ধবকে নার্কো টেস্ট করানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন বিজেপি নেতা রাম কদম। তাঁকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই বল♏েছে, ‘সীতা মাতা পর্যন্ত অগ্নিপরীক্ষা দিয়েছিলেন। ওঁরা কেন দিতে পারবেন?’
তারইমধ্যে দুর্নীতির অভিযোগে দেশমুখের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন পরমবীর। নিজের পিটিশনে আইপিএস অফিসার দাবি করেছেন, বিভিন্ন মামলার তদন্তে হস্🅘তক্ষেপ করতেন দেশমুখ। নিজে যেমন চাইতেন সেরকমভাবে তদন্ত করার নির্দেশ দিতেন। তাঁকে মুম্বই পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে সিদ্ধান্তকেও বিদ্বেষপরায়ণমূলক বলে দাবি করেছেন পরমবীর।