বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ২২ নাগাদ সফল উত্ক্ষেপণ হল চিনেক শেনঝাও-১২ রকেটের। চিনের স্পেস স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দিলেন তিন চিনা নভোশ্চর।'নির্বিঘ্ন উত্ক্ষেপণ হয়েছে,' জানালেন চিনের স্পেস প্রোগ্রামের ডেপুটি ডিরেক্টর চেন শানগুয়াং। সেই সঙ্গে বললেন, 'এটি সবেমাত্র প্রথম পদক্ষেপ। আরও অনেক চ্যালেঞ্জ বাকি।' চিনের গোবি মরুভূমিতে জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার। সেখান থেকেই রকেটের উত্ক্ষেপণ হয়। দেখুন উত্ক্ষেপণের ভিডিয়ো : পৃথিবীর সন্নিকটস্থ কক্ষপথে পৌঁছনোর পর প্রতিক্রিয়া দেন তিন নভোশ্চর। ৫৬ বছর বয়সী ক্রু কমান্ডার নিয়ে হাইশেং বলেন, 'দারুণ লাগছে!' এই নিয়ে তৃতীয় বার মহাকাশ অভিযানে পাড়ি দিলেন তিনি। অপর মহাকাশ অভিযাত্রী ৫৪ বছর বয়সী নিউ বোমিংও এর আগে মহাকাশ অভিযানে গিয়েছেন। ৪৫ বছর বয়সী টাং হংবোর এটিই প্রথম মহাকাশ যাত্রা। এর আগে ২০০৫ ও ২০১৩ সালে মহাকাশে গিয়েছিলেন অ্যাস্ট্রোনটিক্স-এ পিএইচডি নিয়ে হাইশেং। শেনঝাও-১২ (Shenzhou-12)যে স্পেসশিপে করে ৩ নভোশ্চরকে পাঠানো হচ্ছে, তার নাম শেনঝাও-১২। মিশনের উদ্দেশ্যমহাকাশে চিনের নিজের স্পেস স্টেশন গড়ার পরিকল্পনা এখন আর কারও অজানা নয়। সেই স্পেস স্টেশন তৈরীর কাজ এগোতেই এই মিশন। স্পেস স্টেশন তৈরির কাজে এর আগেই ২ বার মনুষ্যহীন রকেট পাঠানো হয়ে গিয়েছে চিনের।ইতিমধ্যেই চিনের স্পেস স্টেশনের প্রাথমিক একটি কোর মডিউল নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করছে। স্পেসশিপটি গিয়ে তার সঙ্গে যুক্ত হবে। এরপরেই সেই কোর মডিউলে মোট ৩ মাস কাটাবেন ৩ মহাকাশচারী। চিনের স্পেস স্টেশনের এই কোর মডিউলের নাম 'তিয়ানহে'। চিনা ভাষায় যার অর্থ 'স্বর্গের জাহাজ'। যে তিয়ানহের মধ্যে নভোশ্চররা থাকবেন, সেটি একটি ১৬.৬ মিটার লম্বা। ব্যাস প্রায় ৪ মিটার। এর মধ্যেই তিন মাস কাটাবেন তিন নভোশ্চর। এটি স্পেস স্টেশন তৈরির পরিকল্পনায় চিনের তৃতীয় মহাকাশ অভিযান। আরও মোট ৮টি অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে চিনের। তবেই শেষ হবে চিনা স্পেস স্টেশন তৈরির কাজ।