শিবসেনা কার? এই প্রশ্নের জবাবের খোঁজে উঠে পড়ে লেগেছেন উদ্ধব ঠাকরে এবং একনাথ শিন্ডে। এই আবহে এবার শিবসেনার দুই পক্ষের নেতাকেই দলিল প্রমাণ জমা দিতে বলল নির্বাচন কমিশন। শিবসেনায় নিজ নিজ গোষ্ঠীর সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে নথি দিতে বলা হয়েছে একনাথ, উদ্ধবকে। আগামী ৮ অগস্টের দুপুর✤ ১টার মধ্যে এই নথি জম𒉰া দিতে বলা হয়েছে একনাথ, উদ্ধবদের।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে সোমবার নিজেকে শিবসেনার প্রধান নেতা বা 'মুখ্য নেতা' হিসেবে অভিষিক্ত করেন। পাশাপাশি বিদ্রোহীদের নিয়ে দলের একটি নতুন জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটি🦹 গঠন করার ঘোষণা করেন শিন্ডে। উদ্ধব ঠাকরে অবশ্য শিন্ডের নতুন জাতীয় কার্যনির্বাহীতে শিবসেনার সভাপতির দায়িত্ব পালন কꦏরবেন বলে জানানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে বুধবার শিবসেনার অন্তর্দ্বন্দ্বের মামলার বিচার চলছে। দলের ১৯ সাংসদের মধ্যে ১২ জনই জাতীয় কার্যনির্বাহী ভেঙে পুনর্গঠন করার পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন। ল൩োকসভার অধ্যক্ষকে এই ১২ সাংসদ জানিয়েছেন যে তারা একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠীর। এদিকে উদ্ধব ঠাকরেকে দলের প্রধান হিসাবে বহাল রাখা হলেও এটা স্পষ্ট যে বিদ্রোহীরা তাঁকে নিছক এক ‘প্রতীক’ হিসাবে ব্যবহার করতে চান। শিন্ডে বর্তমানে দলের সিংহভাগ বিধায়ক এবং সাংসদের সমর্থন পাচ্ছেন। দলের যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তিনি। তবে দলের পদাধিকারীদের মধ্যে থেকে ১৮৮ জনের সমর্থন প্রয়োজন হবে একনাথ শিন্ডের।
এদিকে নতুন ব্যবস্থা অবশ্য প্রত্যাখ্যান 🌞করেছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। তিনি ইতিমধ্যেই শিন্ডেকে শিবসেনার জাতীয় কার্যনির্বাহীর 'নেতা' পদ থেকে বরখাস্ত করেছেন। এদিকে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী রামদাস কদম ও প্রাক্তন সাংসদ আনন্দ রাও আদসুলকে বরখাস্ত করেছেন উদ্ধব ঠাকরে। এই দুই নেতাই শিন্ডের নবগঠিত কার্যনির্বাহী কমিট𝓰িতে আছে। এই আবহে শিবসেনায় কার কর্তৃত্ব বজায় থাকবে, তার দিকে নজর সবার।