শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ঘটনায় এবার নয়া মোড়। হায়দরাবাদের সেন্টার ফর ফিঙ্গারপ্রিন্টিং অ্য়ান্ড ডায়াগনস্টিকসে উদ্ধার হওয়া হাড় ও চুলের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। আর সেই নমুনার সঙ্গে শ্রদ্ধা ওয়াকারের পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ মিলে গিয়েছে। আর এই রিপোর্ট কার্যত তদন্ত প্রক্রিয়াকে অনেকটাই সহজ করে দিল মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।দক্ষিণ দিল্লির পুলিশ বুধবারই এই রিপোর্ট হাতে পেয়েছে। তারাই শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ঘটনার তদন্ত করছে। তার লিভ ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালা শ্রদ্ধাকে নৃশংসভাবে খুন করেছিল বলে অভিযোগ।স্পেশাল কমিশনার অফ পুলিশ সাগর প্রীত হুড়া জানিয়েছেন, ডিএনএ পরীক্ষার জন্য় নমুনা পাঠানো হয়েছিল। শ্রদ্ধা ওয়াকারের বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে নমুনা মিলে গিয়েছে। এর থেকে প্রমাণিত যে এগুলি শ্রদ্ধারই। এবার সেই হাড়গুলিকে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে এইমসের মেডিক্যাল বোর্ডের কাছে।তবে এনিয়ে পুলিশ দুবার নিশ্চিত হল যে এই হাড়গুলি শ্রদ্ধারই। ২৭ বছর বয়সী শ্রদ্ধাকে খুন করে ৩৫ টুকরো করে ফেলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপর সেই দেহের টুকরো জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেই হাড়ের টুকরো উদ্ধার করে। ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর পুলিশ অনেকটাই নিশ্চিত হয় যে এগুলি শ্রদ্ধা ওয়াকারের দেহের টুকরো।এক তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, হায়দরাবাদে হাড়ের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে যে রিপোর্ট এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে এগুলি শ্রদ্ধা ওয়াকারের। এদিকে তার খুনি আফতাব পুনাওয়ালা বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি অবস্থায় রয়েছে।এবার একটু পেছন ফিরে দেখা যাক। পুনাওয়ালা ও শ্রদ্ধার মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এরপর তারা গত মে মাসে দিল্লিতে চলে আসেন। এদিকে শ্রদ্ধার পরিবারের লোকজন এই সম্পর্ক মানতে চাননি। তারা এর বিরোধিতা করেছিলেন। এদিকে শ্রদ্ধার এক বন্ধু শ্রদ্ধার বাবাকে জানিয়েছিলেন গত দুমাস ধরে সে বন্ধুর কোনও খোঁজ পাচ্ছে না। এরপরই তার বাবা গত অক্টোবর মাসে মুম্বই পুলিশের কাছে গোটা ঘটনা খুলে বলেন।এদিকে গত বছরের ১২ নভেম্বর পুনাওয়ালা পুলিশের কাছে কার্যত কবুল করে, মাস ছয়েক আগে সে শ্রদ্ধাকে খুন করেছে। এরপর ৩৫ টুকরো করে সে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল। তিনমাস ধরে সে দেহের অংশগুলি ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল। এরপর সেগুলিকে একে একে সে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেয়। পরবর্তী সময়ে পুলিশ জানতে পারে, গত ১৮ মে অর্থনৈতিক কোনও সমস্যাকে কেন্দ্র করে তাদের নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল বেঁধে যায়। তারপরই খুন।