নাগায়েমথান ধর্মালিঙ্গমের সদ্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। গত ১১ বছর ধরে তার বিরুদ্ধে মাদক পাচার মামলায় চলছিল শুনানি। নিজের প্রতিরক্ষায় ধর্মালিঙ্গম জানিয়েছিল যে স্রেফ টাকার জন্য সে মাজক পাচারে যুক্ত হয়। মূলত তাতে মালয়েশিয়া থেকে সিঙ্গাপুরে ৪৮ গ্রাম হেরোইন পাচারের সময় ধরা হয়েছিল। নাগায়েমথামের মৃত্যুদণ্ড ঘিরে উঠছে বিতর্কে⛦র ঝড়। মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য অনুযায়ী, নাগায়েমথানের আইকিউ বা বুদ্ধাঙ্ক ৬৯, যা প্রমাণ করে যে সে বুদ্ধির দিক থেকে অনেক পিছিয়ে।
বহু সমাজকর্মীই নাগায়েমথানের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুরে সরব হয়েছিলেন। প্রশ্ন ওঠে, যাঁরা বুদ্ধিমত্তার স্বাভাবিকতা প্রশ্নের মুখে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত? উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুরে মাদক সংক্রান্ত মামলার কঠোরতা সারা বিশ্বে প্রসিদ্ধ। নাগায়েমথানের মামলায় সিঙ্গাপুরের সরকার সাফ জানিয়েছিল যে, 'কাণ্ডটি ঘটানোর সময় সে তার ঠিক, ভুল বিচার করার ক্ষমতা হারায়নি।' ফলে তাকে দণ্ড থেকে ছাড় দেওয়া নিয়ে পাল্টা দাবি পোক্ত করে সিঙ্গাপুরের সরকার। সরকার বলে, 'সে খুব ভালভাবেই জানত সে কী করছে।' উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুরের আইন অনুযায়ী ১৫ গ্রামের বেশি মাদক সহ ধরা পড়লেই মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি রয়েছে। আর নাগায়েমথান ২০০৯ সালে ধরা পড়েছিল ৪৮ গ্রাম মাদক নিয়ে। ২০১৫ সালে নাগায়েমথান আদালতের কাছে আবেদন জানান, যাতে তাকে বুদ্ধিমত্তার কমতির দিক থেকে রেহাই দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ড থেকে। তবে পাল্টা আদালত জানায়, এমন ব্যক্তিকে ছেড়ে দিলে পরবর্তীতে অপরাধের ঝুঁকি নিয়ে উঠতে পারে প্রশ্ন। আ𓃲রও পড়ুন-বেডরুমে চার্জে থাকা ইলেকট্রিক বাইকের ব্যাটারি বিস্ফোরণ! ঘটল মর্মান্তিক পরিণতি