ꦜএকেবারে হাড়হিম করা ঘটনা। এক স্প্যানিশ মহিলাকে দুমকাতে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এরপর সারারাত তাঁকে হান্ডিশা এলাকার একটি কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে কাটাতে হয়। এরপর ওই মহিলা শনিবার সকালে প্রায় ৪০ কিমি মোটর বাইক চালিয়ে ফুল ঝানো মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যান। পরবর্তী মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য তিনি ওই বড় হাসপাতালে যান বলে খবর। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলা ও তাঁর স্বামী নিরাপত্তার কারণে ওখানেই থাকতে চাইছেন। এদিকে ওই মহিলার স্বামীকেও মারধর করেছে দুষ্কৃতীরা, এমনটাই খবর।
﷽এদিকে সূত্রের খবর, ঘটনার পরে একটি পুলিশের গাড়িকে হাত দেখিয়ে দাঁড় করিয়েছিলেন ওই মহিলা এরপর তিনি সহায়তার জন্য প্রার্থনা করেন। কিন্তু পুলিশের লোকজন প্রথমে তাঁদের ভাষা বুঝতে পারেননি। কারণ তাঁরা ইংরেজিটাও ঠিকঠাক বলতে পারছিলেন না। এরপর দেখা যায় তাঁদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটা দেখেই পুলিশকর্মীরা আর দেরি করেননি। এরপর তাঁরা দ্রুত তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। পরে ওই দম্পতি জানায় যে ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে।
🌺এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই জেলার পুলিশ সুপার ওই রাতেই ঘটনাস্থলে যান। এরপর শুরু হয় তল্লাশি। কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তার খোঁজ চলতে থাকে।
▨এদিকে পুলিশের পেট্রলিং গাড়িতে থাকা এক পুলিশকর্মী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই দম্পতি কিছুতেই অ্যাম্বুল্যান্সে বা পুলিশের গাড়িতে উঠতে চাননি। তাঁরা দীর্ঘপথ প্রায় ৪০ কিমি দীর্ঘ পথ নিজেদের বাইকে চেপে আসেন। কিছুতেই তাঁরা পুলিশের গাড়িতে চাপতে চাইছিলেন না। তবে গোটা রাস্তা পুলিশের গাড়ি তাঁদের এসকর্ট করে নিয়ে আসে। পুলিশ জানিয়েছে প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরীক্ষার পরে ওই দম্পতিকে নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সাতজন অভিযুক্তকেই চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। তাদের মধ্য়ে কয়েকজন গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছে। দুষ্কৃতীরা সকলেই স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
▨স্পেন থেকে ৩৫ বছর বয়সী ওই মহিলা পর্যটক ভারতে একা আসেননি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী। অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে ব্যাপক মারধর করা হয়। তারপরই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের দুমকার এই ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দুমকার কুরুমাহাতের হাঁসদিয়া পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার খবর ইন্টারনেটে কার্যত ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে যায়। ইনস্টাগ্রামে ওই মহিলা ঘটনার ভিডিয়ো তুলে তা পোস্ট করেন। তিনি সেখানে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে একটা ঘটনা ঘটেছে…।’