অক্সিজেনের ঘাটতির জেরে চরম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দিল্লিতে। করোনা আবহে অক্সিজেনের হাহাকারের বিভিন্ন ঋদয়বিদারক চিত্র উঠে এসেছে দেশ জুড়ে। এই আবহে অক্সিজেনের ঘাটতি নিয়ে বলতে বলতে ভেঙে পড়লেন দিল্লিতে অবস্থিত শান্তি মুকুন্দ হাসপাতালের সিইও সুনীল সাগর। এদিন তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, আমাদের হাসপাতালে প্রায় কোনও অক্সিজেন অবশিষ্ট নেই। আমরা চিকিসকদের বলেছি যাতে রোগীদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আর হয়ত দুই ঘণ্টার মতো অক্সিজেন রয়েছে আমাদের এখানে। এদিকে আজ সকালেই অক্সিজেন সংকট প্রসঙ্গে দিল্লি হাইকোর্টের ভর্ত্সনার মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রকে তুলোধোনা করে দিল্লি হাইকোর্টের তরফে এদিন বলা হয়, 'বাস্তব পরিস্থিতি দেখেও কীভাবে সরকারের ঘুম ভাঙছে না? যখন মানুষ মরে যাচ্ছে, তখন আপনি শিল্পের প্রয়োজন নিয়ে চিন্তিত। এর মানে মানুষের জীবনের দাম নেই সরকারের কাছে।'উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় অক্সিজেনের সঙ্কট আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে রাজধানীতে। ৬টি হাসপাতালে তলানিতে ঠেকেছে অক্সিজেনের সরবরাহ। এতেই আরও উদ্বেগ প্রকাশ করে আদালত। আদালতের কথায়, হাসপাতালে অক্সিজেনের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব। জীবনের অধিকারের মতো মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজন হলে সরকারের উচিত শিল্পক্ষেত্রে পাঠানো সব অক্সিজেন মেডিক্যাল ব্যবহারের কাছে ফিরিয়ে আনা।উল্লেখ্য, এর আগে মঙ্গলবার অক্সিজেন নিয়ে সরকারকে সংবেদনশীল হতে বলেছিল আদালত। পেট্রলিয়াম, ইস্পাতের মতো যে কোম্পানিগুলিতে অক্সিজেন বেশি পরিমাণে লাগে, সেখান থেকে অক্সিজেন ঘুরিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।