উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে যখন সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুন জ্বলছিল, সেই সময় নির্বাক দর্শকের ভূমিকা পালন করে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত অবমাননা মামলার জবাবে এমনই মন্তব্য করলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ।সুপ্রিম কোর্ট এবং প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবডের বিরুদ্ধে টুইটের জেরে বর্ষীয়ান আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ জমা পড়েছে। রবিবার তারই জবাবে জমা দেওয়া অ্যাফিডেভিটে ভূষণ তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেছেন। তাঁর যুক্তি, বাক স্বাধীনতার অধিকার বলে তিনি ওই সমস্ত মন্তব্য করেছেন। তা ছাড়া, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তদানীন্তন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি দীপক গুপ্তার আপত্তিজনক মন্তব্যের জেরেই তিনি ওই টুইট করেছিলেন বলে জানিয়েছেন ভূষণ।অ্যাফিডেভিটে ভূষণ অভিযোগ করেছেন, ‘গত ১৫ ফেব্রুয়ারি গুজরাত হাই কোর্টে পি ডি দেশাই স্মারক বক্তৃতায় বিচারপতি চন্দ্রচূড় প্রতিবাদকে দেশদ্রোহিতা বলার জন্য উষ্মা প্রকাশ করেন। অথচ এক সপ্তাহ পরে দিল্লির দাঙ্গায় প্রতিদিন সংবাদমাধ্যমে মসজিদ পোড়ানোর দৃশ্য দেখা যায় এবং পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিসিটিভি ধ্বংস করে এবং পাথর ছোড়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করে, তখন দিল্লি জ্বলতে থাকলেও নির্বাক শ্রোতার ভূমিকা পালন করে সুপ্রিম কোর্ট।’ওই ঘটনার জেরে ২৭ জুন সুপ্রিম কোর্টকে আক্রমণ করে এবং ২৯ জুন প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান প্রশান্ত ভূষণ। এই দুই টুইটের জেরেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়।এর মধ্যে ২৯ জুনের টুইট বার্তায় বিজেপি নেতার ছেলে সোনবা মুসালের মোটরবাইকে বসা প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবডের ছবি পোস্ট করে ভূষণ লেখেন, কোভিড সংক্রমণের জন্য লকডাউনের জেরে সুপ্রিম কোর্টের কাজে কড়া স্বাস্থ্যবিধি চাপালেও নিজে হেলমেট ও মাস্ক ছাড়াই বাইক সফর করছেন প্রধান বিচারপতি।