দশক পুরোনো অযোধ্যা বিবাদ মিটেছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের সেই রায়তে কি ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইনে বৈধতা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব মিলেছে? এই বিষয়ে এবার কেন্দ্রের মতামত স্পষ্ট করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইন অনুযায়ী, ১৯৪৭-এ স্বাধীনতার সময় যেখানে যা ছিল, তেমনটাই রাখতে হবে। কোনও মন্দির, মসজিদ বা গির্জার চরিত্র পাল্টানো যাবে না। তবে অযোধ্যায় ধ্বংস হওয়া বাবরি মসজি😼দের জায়গায় তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির। বিতর্ক রয়েছে মথুরায় শাহি ইদগাহ মসজিদ ও বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়েও।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের অযোধ্যা রায়ে বলা হয়, ‘১৯৯১ সালের আইনটি আমাদের ইতিহাস এবং জাতির ভবিষ্যতের সাথে কথা বলে... জনসা💙ধারণের উপাসনার স্থানগুলির চরিত্র সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে আইছে। সংসদ এটা বলেনি যে বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে নিপীড়নের যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে ইতিহাস এবং এর ভুলগুলিকে। তবে অতীতে কোথায় কী ছিল, তা ভেবে ফের মন্দির বা মসজিদের চরিত্র বদল না করাটা ধর্মনিরপেক্ষতার মূলমন্ত্র। সে কারণে এই আইন তৈরি হয়েছে।’ উল্লেখ্য, রামমন্দির-বাবরি মসজিদ নিয়ে আইনি বিবাদের চলাকালীন ১৯৯১ সালে উপাসনাস্থল আইন অনুমোদন করেছিল সংসদ। উপাসনাস্থলের চরিত্র বদলে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি আইনে এও বলা হয়েছিল, এ নিয়ে কোনও মামলা করা যাবে না। অযোধ্যার বিবাদই একমাত্র ব্যতিক্রম থাকবে এই ক্ষেত্রে।
প্রসঙ্গত, উপাসনাস্থল আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টে মামলাকারী উপাধ্যায়ের যুক্তি, উপাসনাস্থল আইন বৈষম্যমূলক। এর ফলে হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধরা বঞ্চিত হচ্ছেন। আবেদনকারী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের পক্ষে সওয়াল করা প্রবীণ আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেছেন অযোধ্যা রায়ে করা মন্তব্যগুলি নিছক 'নির্দেশ' এবং এতে আইনের বল নেই। এদিকে আবেদনকারী বিশ্ব ভদ্র পূজারি পুরোহিত মহাসঙ্ঘের পক্ষে উপস্থিত হওয়া অ্যাডভোকেট পিবি সুরেশ, বিপিন নꦓায়ার এবং বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বলেছেন, অযোধ্যা মামলায় সাংবিধানিক বেঞ্চের সামনে ১৯৯১ সালের আইনের বৈধতার বিষয়টি উত্থাপিত হয়নি।