বুধবার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। সেই প্রক্রিয়া শুরুর কার্যত কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমꦇার শিণ্ডে জানিয়ে দেন, তিনি ধরমরাজ কাডাদীকে সমর্থন করছেন। উল্লেখ্য, সোলাপুর দক্ষিণ বিধানসভা আসন থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়ছেন ধরমরাজ।
এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের 'মহা বিকাশ আঘাড়ী' বা এমভিএ-র মধ্যেকার দ্বন্দ্ব ফের একবার প্রকাশ্যে চলে এল বলেই☂♕ মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, ওই একই আসনে এমভিএ-র তরফে প্রার্থী হয়েছেন শিব সেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী)-এর মনোনীত একজন। এবং কংগ্রেস এমভিএ-র অন্যতম প্রধান সদস্য।
সুশীল কুমার শিণ্ডের এই সিদ্ধান্তে পাশে থাকত🤪ে দেখা গিয়েছে তাঁ মেয়ে তথা কংগ্রেস সাংসদ প্রণি෴তি শিণ্ডেকেও। তাঁরা দু'জনই এদিন সোলাপুরে নিজেদের ভোট দেন। এবং তারপরই সংশ্লিষ্ট নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেন।
কিন্তু, এমন অবস্থানের কারণ কী ? এই প্রসঙ্গে সুশীলের ব্যাখ্যা হল - 'আমি বিশ্বাস করি, ধরমরাজ কাডাদী একজন ভালো প্রার্থী এবং তাঁর ভবিষ্যৎ অত্যন্ত𝓀 উজ্জ্বল। প্রাথমিকভাবে দিলীপ মানেকে এই আসনে কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী করার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু, সেটা হয়নি। তাই তাঁকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে এবং কাডাদীকে সমর্থন করতে হয়েছে।'
সুশীলের আরও দাবি, সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের জনভিত্তি অত্যন্ত ভালো। তা সত্ত্বেও উদ্ধব সেনা কংগ্রেসকে সেখানে প্রার্থী দিতে দেয়নি। জোটসঙ্গীর এহেন আচরণের এদিন কঠোর সমালোচনা করেন মহ𓂃ারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'এই বিধানসভা কেন্দ্রটি কংগ্রেসের গড় হিসাবে পরিচিত। আমি যখন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ন💃িজের দায়িত্ব পালন করেছিলাম, তখন এই কেন্দ্র থেকেই ভোটে লড়ে জিতেছিলাম। ক♉িন্তু, শিব সেনা (ইউবিটি) তাড়াহুড়ো করে এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসাবে অমর পাতিলের নাম ঘোষণা করে দেয়। কিন্তু, এই কেন্দ্র নিয়ে তাদের দাবি সঠিক নয়। বছরের পর বছর ধরে কংগ্রেস এই আসনটি দখলে রেখেছে। সেনা মাঝেমধ্যে কখনও-সখনও এখানে জয়লাভ করেছে।'
সুশীল কুমার শিণ্ডের সাংসদ কন্যা প্রণিতি শিণ্ডে এই প্রসঙ্গে বলেন, 'সো🅘লাপুর দক্ষিণ কেন্দ্রটি ঐতিহাসিকভাবেই কংগ্রেসের গড় হিসাবে পরিচিত। এই কেন্দ্র অতীতে রাজ্যের একজন মুখ্যমন্ত্রীকে পর্যন্ত জিতিয়ে এনেছে। আমরা আঘাড়ী ধর্ম মেনে চলেছি এবং এবি ফর্ম পূরণ করিনি। তাই, আমাদের প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে হয়। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল, পন্ধরপুরের মতো এখানে আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই করতে পারলাম না। তাই, এই আসনে আমাদের দলের ভিত্তি পর্যালোচনা করে আমরা কাডাদী সাহেবকেই সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'