আটবার কোভিড টিকা নেওয়া বিহারের অশীতিপরকে খুব সম্ভবত গ্রেফতার করবে না পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সম্প্রতি একটি এফআইআর করেছিলেন জনস্বাস্থ্য আধিকারিক। তবে অভিযুক্ত বহ্মদেব মণ্ডলের বয়সের কথা মাথায় রেখে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করবে না বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্র জানা গিয়েছে যে মধেপুরার পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার বৃদ্ধকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে না পাঠাতে এবং থানাতেই তাকে জামিন দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।পুরাইনি থানার স্টেশন হাউজ অফিসার দীপক চন্দ্র দাস এই বিষয়ে বলেন, ‘এসএইচওর কাছে থানায় জামিন দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বৃদ্ধের অপরাধ যথেষ্ট গুরুতর নয়। এই ঘটনা তাঁর অজ্ঞতার কারণে হয়েছে বলে মনে হয়। একটি ইচ্ছাকৃত পদক্ষেপ নয়।’ তবে এখনও তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।এর আগে অশীতিপর বৃদ্ধ দাবি করেছিলেন যে তিনি গত ১১ মাসে ১২ বার কোভিড টিকা নিয়েছেন। বৃদ্ধের এই দাবি ঘিরে হইচই পড়ে বিহারে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যদফতর কার্যত তাঁর এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছিল। তবে তদন্তে উঠে আসছে তিনি ১২টি টিকা নেননি ঠিকই, কিন্তু ৮টি টিকা তিনি নিয়েছেন তিনি। এরপরই প্রশ্ন ওঠে তিনি কীভাবে আটটি টিকা পেলেন? ব্রহ্মদেবের দাবি দাবি অনুযায়ী, গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারির পর ১৩ মার্চ, ১৯ মে, ১৬ জুন, ২৪ জুলাই, ৩১ অগস্ট, ১১ সেপ্টেম্বর, ২২ সেপ্টেম্বর, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২৮ ডিসেম্বর, ৩০ ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি ভ্যাকসিন নিয়েছেন। যদিও পরে জানা যায়, ১২ বার নয়, বরং আটবার কোভিড টিকা নেন তিনি। একটি সার্টিফিকেটে দেখা যাচ্ছে তিনি গত ১৩ই এপ্রিল দুটি ভ্যাকসিন নিয়েছেন একই দিনে। এই আবহে কোউইন পোর্টাল নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তবে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সাফাই, এএনএমদের কাছে ট্যাব দেওয়া থাকে। কিন্তু ইন্টারনেটের সমস্যার জন্য অনেক সময় কো উইনে সঙ্গে সঙ্গে এন্ট্রি করা যায় না। অনেক সময় তাড়াহুড়ো করতে গিয়েও এসব হয়ে যেতে পারে। পরে হয়ত এন্ট্রি করা হয়েছে।