কেন্দ্রীয় সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করছে। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গঠিত হোক তদন্ত কমিটি। এই দাবি জানিয়ে এবাꦿর রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর দ্বারস্থ তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েনের বক্তব্য, 'সংসদীয় কমিটিকে এড়িয়ে জোর করে পরপর সব বিল পাশ করিয়ে নেওয়ার পন্থা গ্রহণ করেছে সরকার। যা হচ্ছে, তার বিস্তারিত তদন্ত দাবি করছি আমরা। গত বাদল অধিবেশনে যে সব প্রশ্ন উঠেছে, সেগুলি সংসদীয় কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হোক। চেয়ারম্যান এই বিষয়ে তদন্ত করে দেখুন।'
তৃণমূলের তরফে যে প্রশ্নগুলি তুলে ধরা হচ্ছে তা হল - যখন ১২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল সংসদে পাশ করানো হয়, তখন সদনে প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন না কেন? গড়ে ১০ মিনিট আলোচনা করে কীভাবে উভয়কক্ষে মোট ৩৮টি বিল পাশ করানো হল কেন? পাশ▨ হওয়া ৩৮টি বিলের মধ্যে মাত্র একটিকে পাঠানো হয়েছে সংসদীয় কমিটিকে, তাহলে এই কমিটি রাখার অর্থ কী? লোকস𒁏ভায় এখনও কেন কোনও ডেপুটি স্পিকার নেই? পেগাসাস নিয়ে আলোচনায় কেন্দ্রের আপত্তি কেন?
উল্লেখ্য, গত বাদল অধিবেশনে রাজ্যসভায় ঘটে যাওয়া তাণ্ডবের তদন্তের স্বার্থে একটি শৃঙ্খলারক্ষাকারী 🦹কমিটি গঠন করা হচ্ছে। সেই কমিটিতে নিজেদের প্রতিনিধি পাঠাতে অস্বীকার করেছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল সহ একাধিক বিরোধী দল। এই আবহে সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বিরোধীদের মধ্যে থেকে 'শীর্ষ' স্থানে থাকার কৌশল তৃণমূলের এই দাবি, এমনটা মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞই।
উল্লেখ্য, গত ১১ অগস্ট কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজ্যসভা। বিরোধীদের অভিযোগ, মহিলা সাংসদদের নিগ্রহ করেছেন মার্শালরা। পালটা বিজেপির দাবি, মার্শালদের ধাক্কা মেরেছেন বিরোধীরা। বিরোধীদের 'তাণ্ডব' পর্যালোচনার জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠনের প🐻্রস্তাব রাখা হয় সরকারপক্ষের তরফে। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও আর্জি জানানো হয়। সেই কমিটির পালটা কমিটি গঠনের দাবি তুলল তৃণমূল।