তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই হুঙ্কার দিয়েছেন, ট্রেন ভর্তি করে নয়াদিল্লিতে লোক নিয়ে যাওয়া হবে। গান্ধীজয়ন্তীতে রাজধানীর বুকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ কর্মসূচির তোড়জোড় অন্তত তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। এবার পুলিশকে আবার চিঠি পাঠিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। ৫০ হাজার কর্মী এবং সমর্থকদের থাকার বন্দোবস্ত করতে চেয়ে নয়াদিল্লির দায়রাগঞ্জ থানার ডিপিসিকে চিঠি লিখেছেন রাজ্যসভার সাংসদ। একশো দিনের কাজে বঞ্চনার অভিযোগে এই প্রতিবাদ কর্মসূচ𝓀ি নেওয়া হয়েছে। আগে দুটি অনুমতি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তাতে সম্মতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ।
এদিকে নয়াদিল্লির রামলীলা ময়দানে তৃণমূল কংগ্রেসের এই কর্মসূচিতে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধরনা কর্মসূচিতে থাকবেন স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দলের সব সাংসদ, বিধায়করাও থাকবেন। তার ফলে চাপ বাড়বে মোদী সরকারের উপর বলে মনে করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, জেলা সভাধিপতিরা পর্যন্ত থাকবেন রামলীলা ময়দানের ধরনায়। এই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন পঞ্চাশ হাজার মানুষজন বলে খবর। এই কর্মসূচি আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে বলে খবর। তাই রামলীলা ময়দানে আন্দোলনকারীদের থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থা করতে চেয়ে আর্জি জানিয়েছ𝐆েন ডেরেক।
অন্যদিকে রামলীলা ময়দানে ৫০ হাজার কর্মী–সমর্থকদের নিয়ে রাতে থাকার বন্দোবস্ত করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাই রামলীলা ময়দানে প্য়ান্ডেল এবং তাঁবু খাটাতে চাইছে তাঁরা। যদিও গান্ধী জয়ন্তীর জন্য হাতে আর দু’সপ্তাহ বাকি। সেখানে দলের এত কর্মী–সমর্থকদের জন্য থাকার ব্যবস্থা ক🅰রতে প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে। যদিও পুলিশের অনুমতি এখনও মেলেনি। এই কর্মসূচিকে সফল রূ𒀰প দিতে আসরে নেমে পড়েছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন–সহ অন্যান্যরা। আজ, শনিবার রামলীলা ময়দানে তাঁবু খাটানোর অনুমতি চেয়ে নয়াদিল্লির পুলিশের কাছে আবার চিঠি পাঠালেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ।
আরও পড়ুন: আবার প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ জানাল পর্ষদ, ꧂সবাই দিতে পারবেন না
আর কী জানা যাচ্ছে? একশো দিনের কাজের প্রকল্পের কাজ করে টাকা মেলেনি। তাই বকেয়া টাকা চেয়ে ৫০ লাখ চিঠি পাঠানো হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন আবার নতুন করে চিঠি দিলেন। সেখানে দিল্লির ধরনায় তꦺৃণমূল কংগ্রেসের ৫০ হাজার কর্মী থাকার কথা, রামলীলা ময়দানেই খাওয়ার ব্যবস্থার কথা তিনি উল্লেখ করেছেন চিঠিতে। পুলিশের থেকে অবশ্য কোনও সবুজ সংকেত এখনও পাননি তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে চিঠিটি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে আগে কলকাতায় দু’দিনের ধরনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই জানিয়েছিলেন, আগামী দিনে নয়াদিল্লিতে গিয়ে প্রতিবাদ চলবে। নবজোয়ার কর্মসূচিতে সেটা বারবার বলেছেন অভিষেকও। এখন দেখার বিষয়টি ঠিক কোন দিকে গড়ায়।