সুপ্রিম রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন আগেই। এবার সুপ্রিম কোর্ট মঞ্জুর করল শেখ সুফিয়ানের আগাম জামিনের আবেদন। আর আগাম জামিন পেয়েই নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে শোনা গেল সুফিয়ানকে। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিজেপির ষড়যন্ত্রের জেরে আমার মতো বহু তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে সিবিআই। শুভেন্দু অধিকারীর ইশারাতে পদক্ষেপ করছে সিবিআই।’উল্লেখ্য, এর আগে শীর্ষ আদালতে সিবিআই অভিযোগ করেছিল যে সুফিয়ানের বিরুদ্ধে সাক্ষ দেওয়া সবার নামে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ মামলা রুজু করছে। আদালতে সিবিআই আরও বলেছিল, বিধানসভা নির্বাচনে মমতার হারের প্রতিশোধ নিতে হিন্দুদের উপর অত্যাচার চালিয়েছিলেন শেখ সুফিয়ান। এর আগে গতবছর নভেম্বরেই শেখ সুফিয়ানকে দেওয়া রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে নিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি নন্দীগ্রামে হিংসা মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার আগাম জামিনের আবেদনও খারিজ করা হয়েছিল। এই জোড়া ধাক্কা খাওয়া সুফিয়ান এবার সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নাড়েন। হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা সুফিয়ানের আবেদন গৃহীত হয় সুপ্রিম কোর্টে। এবার তাঁর আর্জি মেনে নিয়ে সুফিয়ানকে আগাম জামিন দিল শীর্ষ আদালত।প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে বিজেপি নেতা দেবব্রত মাইতির খুনের মামলায় নাম জড়ায় সুফিয়ানের৷ এরপরই সিবিআইযের হাত থেকে বাঁচতে আদালতে দোরে ঘুরে বেরাচ্ছেন সুফিয়ান৷ গত ৩ মে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের চিল্লগ্রামের বাসিন্দা, বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতির উপর হামলা করা হয়৷ একইসঙ্গে, তাঁর দলীয় সহকর্মীদের বাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়৷ ঘটনায় গুরুতর জখম দেবব্রতকে প্রথমে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতাল এবং সেখান থেকে কলকাতার এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু, তাতেও শেষরক্ষা হয়নি৷ ১৩ মে মৃত্যু হয় দেবব্রত মাইতির।